নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটে (WB assembly election 2021) নজরে 'বহিরাগত'রা। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে ফের কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল। এবার নির্দেশিকা জারি করা হল, প্রচার শেষে হোটেল, লজ কিংবা বিয়েবাড়িতে থাকতে পারবেন না বহিরাগতরা। এমনকী, এলাকায় বাইরে থেকে কারা আসছেন, সেদিকে আলাদাভাবে নজর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে।

 

বিক্ষিপ্ত অশান্তি বাদ দিলে প্রথম দফার ভোট মিটেছে নির্বিঘ্নেই। আগামী ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভোট। এই দফায় ভোট হবে নন্দীগ্রাম-সহ দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে। এদিন 'বহিরাগত' নির্বাচন কমিশনের কাছে ফের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল নেতা, রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। তাঁর দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রচারে করতে আসছেন মন্ত্রীরা। সঙ্গে প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী। আবার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নাম করে বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে পড়েছে গুন্ডাবাহিনী। তারা সকলেই বহিরাগত। ফলে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এরপর কড়া পদক্ষেপ করল কমিশন।

 


 

প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ শুরুর মুখেও কমিশনের 'বহিরাগত' নালিশ জানিয়েছিলেন তৃণমূল। সেবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) অফিসে গিয়ে ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien) ও কাকলী ঘোষদস্তিদার (Kakoli GhoshDastidar) অভিযোগ করেছিলেন, 'পটাশপুর, ভগবানপুর, খেজুরি, এগরা, নন্দীগ্রাম-সহ বিভিন্ন এলাকায় বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের জড়ো করা হয়েছে। এরা কেউ ওই এলাকার ভোটার নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী যথাযথভাবে কাজ করছে না। বড় রাস্তায় নাকা চেকিং চলছে, কিন্তু গ্রামের ভিতরে ঢুকছেন না জওয়ানরা'।  কয়েক ঘণ্টার পর নন্দীগ্রাম-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় নাকাবন্দির নির্দেশ দেয় কমিশন।