নিজস্ব প্রতিবেদন: 'কলকাতা হবে সিটি অফ ফিউচার। শহরে পরিকাঠামো উন্নতিতে ২২ হাজার কোটি বরাদ্দ করা হবে'। ঘোষণা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। শুধু তাই নয়, কলকাতাকে আর্থিক রাজধানী বানানো-সহ একাধিক পরিকল্পনা কথা জানালেন তিনি।

 

জনসভা কিংবা রোড-শো নয়, কলকাতায় এই প্রথম পায়ে হেঁটে ভোটের প্রচারে অমিত শাহ (Amit Shah)। মমতার পাড়া ভবানীপুরে লিফলেট হাতে বাড়়ি বাড়ি ঘুরলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। দু'বারের জেতা আসন ভবানীপুর ছেড়ে এবার নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর যে কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক তৃণমূলনেত্রী, সেই ভবানীপুর থেকে ভোট দাঁড়িয়েছেন দলের বিশ্বস্ত সৈনিক, রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়।

 


 

রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা না থাকলেও ভবানীপুর কেন্দ্রের গুরুত্ব যে কমেনি, এদিন পথে নেমে সেটাই বুঝিয়ে দিলেন অমিত শাহ। এই কেন্দ্রের জাস্টিস চন্দ্রমাধব রোডের থাকেন বিজেপির পুরানো কর্মী সমরেন্দ্রপ্রসাদ বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, নিজের বাড়িতে শাহ-কে মধ্যাহ্নভোজে অ্যাপায়িত চেয়ে দলের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এদিন দুপুরে সেখানেই খাওয়া-দাওয়া করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মেনুতে ছিল জিরে ভাত, লুচি, রুটি, কুমড়ো ভাজা, বেগুন ভাজা, ছানার ডালনা, ধোকা, নরম পাকের সন্দেশ, নতুন গুড়ের রসগোল্লা।

 


 

লক্ষ্য, 'সোনার বাংলা' গড়া। একুশের বাংলার নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। নিয়মিত রাজ্যে প্রচারে আসছেন মোদি, শাহ, জেপি নাড্ডারা। কলকাতার উন্নয়নে কী পরিকল্পনা? ভবানীপুরে প্রচার শুরুর আগে সাংবাদিক সম্মেলন করেন অমিত শাহ। তাঁর ঘোষণা, 'আগামী ৫ বছরে কলকাতা়কে দেশের দ্বিতীয় কেন্দ্র তথা আর্থিক রাজধানী হিসেবে গড়ের তোলার চেষ্টা হবে। একটি কমিটি গঠন করে আমরা সেই লক্ষ্যের দিকে এগবো। কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের পুনর্জীবনের লক্ষ্য বিনিয়োগ করা হবে। মেট্রো, লোকাল ও বাসের জন্য চালু করা হবে একটি কার্ড'। শাহের কথায়, 'এক সময়ে সিঙ্গাপুর উন্নয়নের মডেল ছিল। সিটি অফ জয় তো থাকবেই, কলকাতাকে ফিউচার সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আমরা ২২ হাজার কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করব'। কলকাতাকে অপরাধমুক্ত করতে শহরের প্রতি গলিতে CCTV ক্যামেরা বসানো ও আদিগঙ্গার সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন 'মোদীর সেনাপতি'।