Primary TET 2022: ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই প্রাইমারি টেট, পুজোর আগেই বিজ্ঞপ্তি
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই টেট নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এবার আজ বিকেলে প্রাইমারি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, এবছর প্রাইমারি টেট নেওয়া হবে এমাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: রাজ্যে প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে একাধিক মামলা উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার এমনই একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, প্রাথমিকে খালি পড়ে থাকা ৩৯২৯ পদে নিয়োগ প্রক্তিয়া দ্রুত শুরু করতে হবে। ওই রায়ের পর আশায় বুক বাঁধছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এরমধ্য়েই আরও একটি সুখবর। এবছর প্রাইমারি টেট নেওয়া হবে আগামী ১১ ডিসেম্বর। এনিয়ে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে পুজোর আগেই।
আরও পড়ুন-কৃষ্ণ নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য, অধ্যাপককে মারধর-হুমকি আরএসএস কর্মীদের
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই টেট নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এবার আজ বিকেলে প্রাইমারি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, এবছর প্রাইমারি টেট নেওয়া হবে ১১ ডিসেম্বর। শূন্যপদ রয়েছে ১১ হাজার। অর্থাত্ এই টেট-এ যারা পাস করবেন তারা পরবর্তী নিয়োগ প্রক্তিয়ায় আবেদন করতে পারবেন। সেখান থেকেই যোগ্যতম প্রার্থী বাছাই করা হবে। প্রসঙ্গত, দায়িত্ব নেওয়ার পরই প্রাথমিক পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পাল ঘোষণা করেছিলেন এবছর টেট নেওয়া হবে। ফলে তাঁর সেই ঘোষণার পথে হেঁটেই ডিসেম্বরে হচ্ছে প্রাথমিকের টেট। এনিয়ে বিস্তারিকে ঘোষণা হবে পর্ষদের ওয়েবসাইটে।
উল্লেখ্য, আজই প্রাথমিকে পড়ে থাকা ৩৯২৯ পদ নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ তিনি ৬৫ জনকে প্রাথমিকে নিয়োগের নির্দেশ দেন। ওই ৬৫ জনকে নিয়োগ দিতে হবে ওই ৩৯২৯টি পদ থেকেই। ২০১৪ সালের টেট-এর পর দুবার নিয়োগ হয়। একটি ২০১৬ সালে। সেবার ৪২,০০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। পরেরটি হল ২০২০ সালে। সেসময় শূন্যপদ ছিল ১৬,৫০০। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০২০ সালে নিয়োগের পর বেশকিছু শূন্যপদ খালি রয়েছে। সেইসব খালি পদে নিয়োগ করা হোক। এনিয়ে মামলা ওঠে আদালতে। মামলা চলাকালীন দেখা যায়, এখনও ৩৯২৯টি পদ শূন্য রয়েছে। ওই খালি পদেই নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। এনিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ১১ নভেম্বর।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট-এ ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কিছু পরীক্ষার্থী। ওই মামলায় ওই প্রশ্নগুলির জন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলা ফের হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেয়। সেই মামলা এখন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারাধীন।