জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিজেপির রাজ্যস্তরের বৈঠকে বড় কথা বলে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একদিকে তিনি যেমন জানিয়ে দিলেন সংখ্যালঘু মোর্চা চাই না, অন্যদিকে তিনি স্পষ্ট করে দিলেন সবকা সাথ সবকা বিকাশ তিনি আর চান না। পাশাপাশি রাজ্যে উপদ্রুত এলাকা আইন লাগু করে ভোট করানোর দাবি তুলে দিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিবাহ বিচ্ছেদের পর ফের বিয়ে! পরকীয়া ভেবে দম্পতির উপর চলল 'নারকীয়' নির্যাতন...


বুধবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির বর্ধিত প্রদেশ কার্যকারিণী বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিজেপি বাংলায় অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ভোট পেয়েছে। তৃণমূলের জিহাদি জঙ্গিরা পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৯ এর পর বুথ স্তরের সংগঠনকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিল। এক লক্ষের বেশি আমাদের বুথে বসা ছেলে পালিয়েছিল রাজ্য ছেড়ে। তারপর আমরা চেষ্টা করে তাদের রাজ্যে এনেছি। সফল নবান্ন অভিযান করেছি। বিধানসভার ভিতরে বাইরে লড়াই করেছি । চুলচেরা বিশ্লেষণের দরকার আছে । উত্তরবঙ্গ, বাকুড়ার আসন হারাব এ আমি ভাবিনি । আমি কখনও এমন কোনো শব্দ বলি না যাতে বুথের কর্মীরা হতাশ হন। মুকুল রায়ের মত সব হারিয়ে বিজেপিতে আসেনি। সব ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি ।  


সংগঠন নিয়ে বলতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, যা বলার ছিল সেটা দিল্লিতে বলে এসেছি সুনীল বনসল কে । ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। আমি জানিয়ে এসেছি কিভাবে বাংলাকে বাঁচানো যায় । ২০২৬ সালের ভোটে দেখবেন আমাকেও ভোট দিতে দেবে না। তার কারণ আমি হিন্দু। ভোটের দিন আমার বাড়ির সামনে ৫০ জন জেহাদি বসে থাকবে। পুলিস দর্শকের আসন গ্রহণ করবে। ভয়ংকর অবস্থা বাংলায়। ভাঙড়ে ২টি অঞ্চলের হিন্দুদের শওকত মোল্লা ভোট দিতে দেয়নি। এখনই না জাগলে ভারতে আর থাকবে না পশ্চিমবঙ্গ । ৫০ লাখ হিন্দুকে ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূলের গুন্ডারা । আমরা পেছন দিক থেকে নবান্ন দখল করতে চাই না। উপদ্রুত এলাকা আইন লাগু করে এখানে ভোট করতে হবে, এই দাবি জানাচ্ছি । ৩৫৬ ধারা আমরা চাই না। যেদিন ভোটে জিতব সেদিন ক্ষমতায় আসব।


রাজ্যের বিভিন্ন  জায়গায় ভোট লুটের কথা টেনে এনে শুভেন্দু বলেন, উপদ্রুত এলাকা আইন লাগু করে গুন্ডাদের ভোটের দিন তালাচাবি দিয়ে আটকে রাখতে চাই। আমার চাই এপিক কার্ড দেখার অধিকার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেওয়া হোক। গতকাল গেছি রাজ্যপালের কাছে। গতকাল মেল করেছি রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চেয়ে । বাংলায় গণতন্ত্র শেষ করে দিয়েছে। ওয়েব কাস্টিং এর লাইভ টেলিকাস্ট কেন দেবে না প্রার্থীদের? বিজেপির সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। সাংগঠনিক দুর্বলতা দূর করে ভোট করতে হবে আগে। সবাই লড়বেন তো?


প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ সব কা বিকাশ স্লোগান নিয়ে বলতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমিও বলেছি রাষ্ট্রবাদী মুসলিম। আপনারাও বলেছেন সবকা সাথ সবকা বিকাশ। আর বলব না। বলব, যো হামারি সাথ হাম উনকে সাথ। সবকা সাথ সবকা বিকাশ বন্ধ করো। নো নিড সংখ্যালঘু মোর্চা।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)