নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির অবনতির জন্য মাদ্রাজ হাইকোর্ট কাঠগড়ায় তুলেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কমিশনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকেও কাঠগড়ায় তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার শ্যামপুকুরের মিনার্ভা থিয়েটারে ভার্চুয়াল সভায় তৃণমূল নেত্রী বলেন,''মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। আদালত পরিষ্কার বলেছে, ইলেকশন কমিশন তার দায়িত্ব এড়াতে পারে না। আমরা বারবার বলেছিলাম, তামিলনাড়ু, কেরলে এক দফায় ভোট হয়েছে। দুদফায় অসমে। বাংলায় ৮টা দফা করেছে মানুষকে মেরে ফেলার জন্য।''  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বক্তব্যের শুরুতেই মমতা (Mamata Banerjee) এ দিন বলেন,''কোভিড নিয়ে ভুল সিদ্ধান্তের জন্য এমন একটা অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে দেশ। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ না করে দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দিয়েছে। একটা অবিবেচক সরকার রয়েছে কেন্দ্রে। টোটাল ফেলিওর। ওদের ওয়ান পয়েন্ট প্রোগ্রাম, বাংলা দখল করতে হবে। বাংলা চাই। তিন মাস ধরে পড়ে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কীভাবে কোভিডকে রোখা যায়, ভ্যাকসিন দেওয়া যায়- এসব চিন্তা না করে আগে বাংলাকে শেষ করো। বাংলার মানুষের মেরুদণ্ড ভেঙে দাও! তারপর আমি কোভিড দেখে নেব। এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আশা যায় না।'' 


মমতা (Mamata Banerjee) আরও বলেন,''ইলেকশন কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাই। নরেন্দ্র মোদী ও ইলেকশন কমিশন দায়ী। কেন ৩ লক্ষ গুন্ডা পড়ে থাকবে বাংলায়? কবে থেকে বলে দিয়েছি বহিরাগত গুন্ডাদের এনে রেখে দিয়েছে। আমার রাজ্যের পুলিসের উপরে আস্থা নেই কেন! এখানেও দেখে দেখে পোস্টিং দিচ্ছে। আমরা জানি না ভেবেছে! ডসিয়ার রেখে দিয়েছি। দেশে গণচিতা জ্বলছে। এদিকে নরেন্দ্র মোদী মন কা বাত ভাষণ দিচ্ছে। তৃণমূলকে রোখার ইজারা নিয়ে বসে আছে কয়েকটা লোক। কীভাবে তৃণমূলকে রোখা যায়! এই ইলেকশন কমিশন থাকলে ভারতে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না। ওয়ান পার্টি ওয়ান রুল থাকবে। ভোটের পর সাংবিধানিক বেঞ্চে যাব। অনেক সহ্য করেছি। ভেবেছিলাম এদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কিচ্ছু হল না। তৃণমূল কংগ্রেসকে বলছে তৃণমূল গুনস।''


আরও পড়ুন- ভোট দেওয়া হল না বুদ্ধবাবুর, মিলল না চিকিৎসকের অনুমতি


শেষ তিন দফা একসঙ্গে করে দেওয়ার দাবি করেছিল তৃণমূল (TMC)। সে কথা মনে করিয়ে দলনেত্রীর (TMC Supremo) মন্তব্য,''শাসক দল হিসেবে বলেছিলাম, তিনটি নির্বাচন একসঙ্গে করে নিন। তৃতীয় দফা থেকে বলেছি, আপনারা সবকটা ইলেকশনকে ক্লাব করুন। ক্লাব করে ইলেকশন করুন। দল মিটিংয়ে গিয়ে বলেছে। নির্বাচন কনিশন শুনল না। বিজেপির মণ্ডল অনুযায়ী ইলেকশন করতে হবে। কোন কোন এলাকায় কাকে গ্রেফতচার করবে, কার বাড়িতে ভাঙচুর করতে হবে -সব বিজেপি বলে দিচ্ছে। প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে নির্বাচন কমিশন। রেসপেক্ট করলে কিন্তু রেসপেক্ট প্রত্যাশাও করি। বিজেপির টিয়া, ময়না, আয়না হয়ে গিয়েছে।''


বলে রাখি, এ দিন নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেন্থিকুমার রামমূর্তির বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ,''আজকের পরিস্থিতির জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। আপনাদের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের ধারায় মামলা করা উচিত।''


আরও পড়ুন- COVID-র দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী কমিশন, খুনের মামলা করা উচিত: মাদ্রাজ হাইকোর্ট