নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলার জনাদেশ স্পষ্ট হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) টুইট করে শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর ফোন না আসায় খানিকটা হতবাক তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়,''এই প্রথম দেখলাম প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন না। তা ঠিক আছে। উনি হয়তো ব্যস্ত।''      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতের নানা প্রান্ত থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে জয়ের অভিনন্দন জানিয়েছেন নেতানেত্রীরা। কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা (Mamata Banerjee) নিজেই জানালেন,''উদ্ধব ঠাকরে ফোন করেছিলেন। ওঁরা খুব খুশি। অরবিন্দের সঙ্গে কালকে কথা হয়েছে। নবীন পট্টনায়েকজি ফোন করেছিলেন। আমাকে রজনীকান্ত ফোন করেছিলেন। অখিলেশ যাদব, হুডাজি, অমরেন্দ্র সিং আরও অনেকে ফোন করেছিলেন। কথাও হয়েছে। সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি। একসঙ্গে কাজ করব।''   


রবিবার প্রধানমন্ত্রী টুইটারে মমতাকে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। টুইট করেন,''পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের জয়ের জন্য মমতা দিদিকে শুভেচ্ছা। বাংলার মানুষের আশাপূরণ ও কোভিড মোকাবিলায় সবরকম সহযোগিতা করবে কেন্দ্রীয় সরকার।'' 
 



 টুইট করলেও নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কাছ থেকে কোনও ফোন আসেননি বলে দাবি করলেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়,''এই সমস্ত কথার কোনও মানে নেই। আমি একটা টুইট করলাম আর সাহায্য করলাম না, এটার কী মানে আছে? এই প্রথম দেখলাম প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন না! তা ঠিক আছে। উনি হয়তো ব্যস্ত। কোনও সেন্টিমেন্টে নিইনি। আমি টুইট দেখেছি। আমি মনে করি, জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও মানবিক ইস্যুতে একসঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত। তবে এক হাতে তালি বাজে না, দুহাতে বাজাতে হয়।''


নির্বাচনী প্রচারে মোদী ও দিদির বাক-লড়াই তীব্র থেকে তীব্র হয়েছে। 'দিদি ও দিদিইই' বলে কটাক্ষের সুরে সম্বোধন করে আক্রমণ করেছিলেন মোদী (Narendra Modi)। তার পাল্টা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে নির্বাচনীযুদ্ধ মিটলে সৌজন্যের খাতিরে প্রধানমন্ত্রী ফোন করতে পারেন বলে হয়তো আশা করেছিলেন মমতা। 


আরও পড়ুন- বিপর্যয়ের দায় মোদী-শাহের? 'ব্যর্থতা বলে আমি মনেই করি না,' ব্যাখ্যা Dilip-র