নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিড পরিস্থিতিতে তাড়াতাড়ি প্রশাসনিক দায়িত্ব নিয়ে নিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সে কারণে আজ,সোমবার গণনার পরের দিনই তৃণমূল ভবনে নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। ওই বৈঠকে সর্বসম্মতিতে মমতাকে (Mamata Banerjee) পরিষদীয় দলনেত্রী হিসেবে নির্বাচন করেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নিতে চলেছেন বলে ঘোষণা করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) বলেন,''নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে প্রিয় নেত্রী, জননেত্রীকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পরিষদীয় দলের নেত্রী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। আমরা খুশি। আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি। শারীরিক বাধা নিয়ে হুইল চেয়ারে বসে বাংলা ও ভারতের মানুষকে রক্ষা করার জন্য সংগ্রাম চালিয়েছেন তিনি। দৃঢ়চেতা চিত্তে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করেছেন। পরিষদীয় দল তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানায়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ৫ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। ৬ তারিখ থেকে তৃণমূলের সমস্ত নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথপাঠ করাবেন প্রোটেম স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকেই পরবর্তীকালে আমরা অধ্যক্ষ হিসেবে চাই। স্পিকারের নাম প্রস্তাব করবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।''


কোভিড-কালে ছোট পরিসরেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন,''আমি বলেছি, শপথ হলেও অনুষ্ঠান করে করব না। কোভিড পরিস্থিতি কাটলে আমরা সেলিব্রেশন করব। ব্রিগেডে ভারতের সব নেতানেত্রীকে আমন্ত্রণ জানাব।


নন্দীগ্রামে মমতা হেরেছেন, তা সত্ত্বেও কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী হবেন? পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জানান, বিষয়টি এখনও নির্বাচন কমিশনে ঝুলে রয়েছে। পরে সুব্রত মুখোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন, সংবিধান অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন। বলে রাখি, ২০১১ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় বিধায়ক ছিলেন না মমতা। ভবানীপুর আসনটি তাঁকে ছেড়ে দেন সুব্রত বক্সি। ওই আসনে জয়লাভ করেন মমতা। 


আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামের মানুষ জেতাতে চায়নি, হার মেনে নিতে চাইছেন না Mamata: Dilip