DA: সময়সীমা শেষের পথে, কবে মিলবে বকেয়া ডিএ? ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য
৩৪ শতাংশ হারে যদি সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হয়, তাহলে খরচ হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: সময়সীমা শেষের পথে। কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ কীভাবে মেটানো হবে? মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য। আবেদন জানানো হল ডিভিশন বেঞ্চে।
সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ইতিমধ্য়েই ডিএ বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের। ৩১ নয়, ৩৪ শতাংশ হারে এখন মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন তাঁরা। এর আগে, ২০২১-র জুলাইয়েও কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) এবং ডিয়ারনেস রিলিফ (DR) বাড়ানো হয়েছিল। সে বছরেরই অক্টোবরে ফের বাড়ে ডিএ-র পরিমাণ।
তাহলে রাজ্য সরকারী কর্মীরা বাদ যাবেন কেন? মামলা দায়ের করা হয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (SAT)। স্রেফ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া নয়, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ৩ মাসের মধ্যে যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলার নির্দেশ দেয় স্যাট। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। কেন? হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলি। ডিএ মামলায় স্যাটের নির্দেশই বহাল রাখে আদালত।
৩ মাসের সময়সীমা শেষ হচ্ছে ১৯ অগাস্ট। নবান্ন সূত্রে খবর, ৩৪ শতাংশ হারে যদি সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হয়, তাহলে খরচ হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান নেই এই মহূর্তে। তাহলে কী করা হবে? আইনি পরামর্শ নিচ্ছিল রাজ্য। এমনকী, কিস্তিতে কিংবা পিএফের সঙ্গে ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।
এদিকে যেদিন সপ্তম বেতন কমিশনে সুপারিশ অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা, তার পরেরদিনই ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। টুইট করেন, 'কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির উপস্থিতিতে ৩ শতাংশ হারে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ডিএ বাড়িয়ে ৩৪% করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উপকৃত হতে চলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের ৪৭. ৬৮ লক্ষ কর্মচারী ও ৬৮.৬২ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত পেনশন প্রাপকরা। এখন থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের থেকে পশ্চিমমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা ৩১% শতাংশ ডিএ কম পাবেন'। শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র পরিমাণও উল্লেখ করে শুভেন্দু।