নিজস্ব প্রতিবেদন:  যৌন লিপ্সার  বিকৃত নজির খোদ শহরের বালিগঞ্জ পার্কের অভিজাত পরিবারে। নিজের বাড়িতে যৌন নির্যাতনের শিকার হলেন গৃহবধূ। ভাসুরকে দিয়ে ধর্ষণ করানোর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের নির্যাতিতার। পণের দাবিতেও চলত তাঁর উপর অত্যাচার। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বালিগঞ্জ পার্কে অভিজাত এলাকার আবাসনের তিনতলায় থাকে নামকরা স্বর্ণ ব্যবসায়ী  সুরঞ্জন সেন ও নীলাঞ্জন সেনের পরিবার।  কেতাদুরস্ত, ঝাঁ চকচকে অভিজাত পরিবারের অন্দরেই যে এত বড় ফাটল, তা বেরিয়ে পড়ল ওই পরিবারেরই এক সদস্যার নির্যাতনের কাহিনীতে।  নির্যাতিতা ব্যবসায়ী সুরঞ্জন সেনের স্ত্রী। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর ওপর অত্যাচার চলত। পরে স্বামী জোর করে তাঁকে নীরঞ্জনের ঘরে ঠেলে পাঠিয়ে দিতেন। নীলাঞ্জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করার জন্য চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। তিনি প্রতিবাদ করায় তাঁর ওপর শুরু হয় অত্যাচার।


আরও পড়ুন: স্বামীর সঙ্গে বান্ধবীর প্রেম, বিচ্ছেদ, আর্থিক অনটন-গড়ফায় ৩ জনের আত্মহত্যার চেষ্টায় নয়া তথ্য


সম্প্রতি ভাসুর নীলাঞ্জনকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুরঞ্জনের বিরুদ্ধে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে নীলাঞ্জন ও সুরঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


নির্যাতিতার বয়ানে উঠে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁর দাবি, ওই পরিবারের এই ভাবেই অনান্য মহিলার ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ভাসুর কিংবা দেওরকে দিয়ে ‘ধর্ষণ’ করানো নাকি সেন পরিবারের ‘রীতি’। অর্থাত্ সেন পরিবারের পারিবারিক রেওয়াজই ছিল, এক ভাইয়ের স্ত্রীয়ের সঙ্গে অন্য ভাই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হবেন। এবিষয়ে বাড়ির অন্যান্য মহিলারাও নাকি  মুখ বন্ধ করে অত্যাচার সহ্য করেছেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। তিনিই প্রথম প্রতিবাদ জানান। আর তারপর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার।


আরও পড়ুন- প্রয়াত কবি পিনাকী ঠাকুর, রেখে গেলেন ‘চুম্বনের ক্ষত’


পুলিস নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেছে। ওই বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বাকিদেরও।


যদিও নির্যাতিতার শ্বশুর পাল্টা অভিযোগ তুলছেন বৌমার বিরুদ্ধে। শ্বশুরের পাল্টা অভিয়োগ, বৌমাই বাইরে বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে রাত কাটান। তাঁর চারিত্রিক সমস্যা রয়েছে। তাঁকে একঘর করা হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে কেউ কথা বলছিলেন না। সাত মাস আগেই বৌমা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন।