Mamata-কে `যুক্তরাষ্ট্রীয়` পাঠ ধনখড়, শুভেন্দু, শাহের; জ্ঞান দেবেন না, পাল্টা TMC
কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ডাকা ইয়াস-পর্যালোচনা (Yaas Review) বৈঠকে মমতা (Mamata Banerjee) অংশ না নেওয়ায় সমালোচনা বিজেপির (BJP)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রীর ইয়াস-পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নরেন্দ্র মোদীর হাতে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান দিয়ে চলে এসেছেন তিনি। এনিয়ে মমতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভঙ্গের অভিযোগে টুইট করলেন একের পর এক বিজেপি নেতা। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, রাজনাথ সিং থেকে শুভেন্দু অধিকারী বিঁধলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। বিজেপি নেতাদের প্রত্যাঘ্যাত তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের। তিনি বলেন,''যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে খুন করার পর ওদের বোঝা উঠিত, এটা একমুখী ট্রাফিক নয়।''
দিঘায় আগে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রশাসনিক বৈঠক ঠিক ছিল। সে কারণে নরেন্দ্র মোদীকে ফাইল দিয়ে চলে আসতে হয়েছে বলে নিজেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী না থাকলেও ছিলেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল (Govenor Jagdeep Dhankhar) টুইট করেছেন,''ইয়াসের জেরে ক্ষতির পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর আধিকারিকরা অংশ নেননি। এই ধরনের বয়কট সংবিধান ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। এতে জনস্বার্থ বা রাজ্যের স্বার্থ সাধিত হয় না।''
রাজ্যের বিরোধী (Suvendu Adhikari) দলনেতা টুইটারে লিখেছেন, ভারতের দীর্ঘদিনের সহায়তামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর একটা কালো দিন। যে নীতি মেনে চলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার দেখালেন, রাজ্যের মানুষের দুর্দশার প্রতি তিনি অসংবেদনশীল।''
এনিয়ে অমিত শাহের টুইট,''মুখ্যমন্ত্রীর আজকের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস অসংখ্য নাগরিকের উপর প্রভাব ফেলেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য এখন সময়ের দাবি। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে দিদি তাঁর অহংকারকে জনস্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখলেন। আজকের তুচ্ছ রাজনীতিই তা প্রতিফলিত করল।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বাংলায় বিঁধেছেন মমতাকে (Mamata Banerjee)। জেপি নাড্ডা (JP Nadda) লিখেছেন,''যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী @narendramodi জী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস'র ক্ষতিগ্রস্থ বাংলার মানুষের পাশে দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন মমতা জীর উচিত ছিল জনগণের কল্যাণার্থে নিজের অহং-কে বিসর্জন দেওয়া। পিএম এর বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি হল সাংবিধানিক নীতি আর সমবায় মৈত্রীতন্ত্রের হত্যা।'' (বানান ও বাক্যগঠন অসম্পাদিত)
টুইটারে রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) লিখেছেন,''পশ্চিমবঙ্গে আজকের ঘটনাক্রম স্তব্ধ করে দেওয়ার মতো। মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তি নন, প্রতিষ্ঠান। দুজনেই জনসেবা ও সবিধানের প্রতি নিষ্ঠার শপথ নিয়েছেন। আপৎকালে বাংলার জনগণকে সহযোগিতার জন্য গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর (মমতা) এই ধরনের আচরণ পীড়াদায়ক। জনসেবা ও সাংবিধানিক কর্তব্য পালনের উপরে রাজনৈতিক মতভেদকে প্রাধান্য দেওয়ার একটি দুর্ভাগ্যজনক নজির তৈরি হল। যা ভারতবর্ষের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূল ভাবনাকে আঘাত করে।''
বিধানসভা ভোটের ফলাফল স্মরণ করিয়ে বিজেপি নেতাদের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Ray)। তাঁর কথায়,''তিন সপ্তাহ আগে ওদের আসল ঠাঁই দেখিয়ে দিয়েছে বাংলার মানুষ। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা দল বেঁধে টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীকে ধর্মোপদেশ দিচ্ছেন। কয়েকজন কখনই শিখতে চান না। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে খুন করার পর ওদের বোঝা উঠিত, এটা একমুখী ট্রাফিক নয়। জ্ঞান না দিয়ে ওঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছ থেকে শিখুন।''
আরও পড়ন- মুখ্যসচিব Alapan Bandyopadhyay-কে আচমকা দিল্লিতে কাজে যোগদানের নির্দেশ