নিজস্ব প্রতিবেদন : আলিপুর বডিগার্ড লাইনের পুকুর থেকে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও স্পষ্ট হল না মৃত্যুর কারণ। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে প্রসেনজিতের? নিছক দুর্ঘটনা নাকি তাঁকে কেউ ঠেলে পুকুরের জলে ফেলে দেন? খতিয়ে দেখছে পুলিস। আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত দুই ভাই ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল ও বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রবিরার আলিপুর বডিগার্ড লাইনের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা প্রসেনজিতের দেহ। মৃতের পরিবার দাবি করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। তাঁরা জানান, সরকারি চাকরি পাওয়ার আশায় দু বছর আগে ২০১৭ সালে ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল ও তাঁর ভাই বিশ্বজিৎকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু এই দু' বছরেও কোনও চাকরির কোনও খবর হয়নি। এরপরই টাকা ফেরত চান প্রসেনজিৎ। টাকা ফেরত নিতেই কলকাতায় আসেন তিনি। তারপরই বডিগার্ড লাইনের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় প্রসেনজিতের দেহ। এই ঘটনায় মৃতের পরিবার ওয়াটগঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে।


সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, কিছু টাকা ফেরত দিয়েছিল অভিযুক্তরা। বাকি টাকা ফেরত নিতে ১০ তারিখ কলকাতায় আসেন প্রসেনজিৎ। কলকাতায় এসে আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে ওঠেন তিনি। বডিগার্ড লাইনের পুকুরের পাশের মন্দিরের চাতাল থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে মৃতের বিছানা, ব্যাগ, মোবাইল ও জুতো। সেখানেই থাকছিলেন প্রসেনজিৎ। একইসঙ্গে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে লালবাজার। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও পড়ুন, মিড-ডে মিলের চাল-ডিম গায়েব, জুটছে শুধু নুনভাত! খবর পেতেই স্কুলে হানা সাংসদ লকেটের


তবে ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রসেনজিৎকে খুন করে জলে ফেলে দেওয়া হয়নি। কারণ তাঁর দেহে মৃত্যুর আগের কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। মাথায় ও কপালের পাশে ছোট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু সেটা পরের। এখন প্রশ্ন একটাই, কেউ কি প্রসেনজিৎকে ধাক্কা মেরে পুকুরে ফেলে দেয়? নাকি এটা নিছকই দুর্ঘটনা? এদিকে দেহ উদ্ধারের সময় মৃতের দেহে কোনও পোষাক ছিল না বলেও জানা গিয়েছে।