নিজস্ব প্রতিবেদন: পায়ে অপারেশন হয়েছে গতকালই। তবে আগামী আরও ২৪ ঘণ্টা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটেই ডাক্তারদের কড়া নজরদারিতে থাকবেন মন্ত্রী জাকির হোসেন। এরপর প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অভিজ্ঞ চিকিত্সকরা তাঁর ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গের চিকিত্‍সা ও পুনর্গঠন-পর্ব শুরু করবেন। মূলত প্রাথমিকভাবে দেহের তিনটি জায়গায় প্লাস্টিক সার্জারির পরিকল্পনা করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাঁ পায়ের গোড়ালির উড়ে যাওয়া অংশ কোষ ও টিস্যু প্রতিস্থাপন করে পুনর্গঠন হবে। পায়ের ছিঁড়ে যাওয়া শিরা- উপশিরা হাত থেকে সংগ্রহ করা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। গতকালই গোড়ালির কিছু অংশ পুনর্গঠন করা হয়। হাত থেকে ধমনী কেটে নিয়ে পায়ের ধমনী মেরামত করা হয়েছে। বুড়ো আঙুলের প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়। এর পাশাপাশি মন্ত্রীর পায়ের ত্বকও কিছুটা জোড়া লাগানো হয়েছে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অপারেশনের পর, জাকির হোসেন আপাতত বিপন্মুক্ত বলেই জানান চিকিত্সকরা।


উল্লেখ্য জাকির হোসেনের ওপর হামলার পরই তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। Z ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতে পারেন তিনি। ইতিমধ্যেই জেলা পুলিসের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই বাকি ব্যবস্থা করা হবে।


আরও পড়ুন: শুক্রবার সাঁতরাগাছিতে রাজ্যের সবচেয়ে চওড়া ফুট ওভারব্রিজের উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী


গত বুধবার রাতে নিমতিতা স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কর্মী সমর্থকরাও। এর মাঝেই মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ, যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন প্রাথমিক অনুমান আগে থেকেই সেখানে বোমা মজুত ছিল। এরপর বোমার আঘাতে বাঁ পায়ে মারাত্মক জখম হন তিনি। আঘাত লাগে দেহের একাধিক অংশেও। জখম হন ২০ জনেরও বেশি। তড়িঘড়ি জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সবাইকে। সেখানেই মন্ত্রীর পায়ে ১৪টি সেলাই হয়। পরে সেই রাতেই তাঁকে কলকাতার উদ্দেশে নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করা হয়। 


উল্লেখ্য, ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা এখনও অব্য়াহত। নিমতিতা স্টেশনে বোমাবাজির ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে CID। আজ সকাল থেকেই সিআইডি বোম স্কোয়াড টিম পুনরায় ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছেন।