নিজস্ব প্রতিবেদন: পেট্রোপণ্য এবং রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের নানাবিধ নীতির প্রতিবাদে বামেদের বনধ (Bharat Bandh)। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বনধকে কটাক্ষ করলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। পাল্টা তোপ সিপিএম (CPIM)-এর রাজ্য কমিটির সদস্য শতরূপ ঘোষের (Shatarup Ghosh)। দুই তরুণ নেতার তরজা ঘিরে সরগরম রাজনীতি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বামেদের বনধকে কটাক্ষ করে সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) মুখপাত্র পোস্ট করেন, "আমার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ সিপিএমও রাস্তায় শুয়ে পড়েছে।" তাঁর এই কটাক্ষের জবাবে Zee ২৪ ঘণ্টাকে শতরূপ ঘোষ বলেন, "দেবাংশুর থেকে আমরা অনুপ্রাণিত হতাম যদি দিদির দরজার বাইরে শুয়ে উনি চৌকাঠ হতে পারতেন। কিন্তু উনি তো চৌকাঠ হতে পারলেনই না, বরং পাপোশ হয়ে গিয়েছেন। দিদির ঘরে ঢুকতে গিয়ে কেউ এখন আর হোঁচোট খাচ্ছে না, পা মুছে ঢুকে যাচ্ছে। জয়প্রকাশ মজুমদার, মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত। উনি বেচারা চৌকাঠ হতে গিয়ে পাপোশ হয়ে গিয়েছেন। আমরা চৌকাঠের থেকে অনুপ্রেরণা নিই, পাপোশ থেকে কী নেব!"



সিপিএম নেতাকে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। ফোনে তিনি বলেন, "আমি দিদির কালীঘাটের বাড়ির সামনে শুয়ে থাকব বলেছিলাম, সেটা নিয়ে সিপিএম-এর প্রচুর মাথাব্যথা। ওরা বলে তুমি শুয়ে রয়েছ তাও সবাই ডিঙিয়ে চলে যাচ্ছে। ওটাই আমি বলেছি যে, আমাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সিপিএম এখন রাস্তাঘাটে শুয়ে পড়ছে। তফাত একটাই আমাকে ডিঙিয়ে অনেকেই হয়তো ঢুকে গিয়েছেন। কিন্তু সিপিএম যেগুলোকে আটকানোর চেষ্টা করছে, সেই বাস বা ট্রেন যদি ওদের ডিঙিয়ে ঢোকার চেষ্টা করত, তাহলে তো ব্যাপারটা অন্যরকম হত। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, মুকুল রায়রা যেমন আমাকে ডিঙিয়ে ঢুকে গিয়েছে, যেগুলোকে সিপিএম আটকানোর চেষ্টা করছে, সেই বাস বা ট্রেন যেন আজ ওনাদের ডিঙিয়ে না চলে যায়। কারণ এটা হলে একটা দুর্ঘটনা হবে। চৌকাঠ আর পাপোশের মধ্যে এখানেই তফাত। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, এটা আমার দলের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার সেখানে সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু ওনারা যে শুয়ে পড়েছেন তাতে সাধারণ নিত্যাযাত্রী, খেটে-খাওয়া মানুষ, করোনার কারণে যাঁদের পেটে লাথি পড়েছে, এই ধর্মঘট করে তাঁদের পেটে আবার লাথি মারার চেষ্টা হচ্ছে। তাই মেহনতি মানুষের কথা বলে তাঁদের পেটে লাথি মারার চেষ্টা করলে এখানে সাধারণ মানুষ যুক্ত হয়ে যায়। একটা দলীয় অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, আর একটা সাধারণ মানুষের।" 


এখানেই শেষ নয়, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে আইএসএফ (ISF)-এর সঙ্গে বামেদের জোট এবং বিধানসভা 'বাম-শূন্য' হয়ে যাওয়া নিয়েও আক্রমণ শানান দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। তিনি বলেন, "ওরা তো আমার দ্বারা অনুপ্রাণিত হল, কিন্তু নিজেদের দলে শুয়ে থেকে আব্বাসের সঙ্গে জোটটা আটকাতে পারল না। শুয়ে পড়ল সাধারণ মানুষকে আটকানোর জন্য। আর ভোটটা তো সাধারণ মানুষই দেয়। শূন্যের নীচে তো আর সংখ্যা হয় না। সিপিএম-এর (CPIM) জন্য নতুন করে আর কী বা বলব।"


প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের নানাবিধ নীতির প্রতিবাদে বনধের (Bharat Bandh) ডাক দিয়েছে বামেরা। সোম এবং মঙ্গল, এই দু'দিন সারা ভারতজুড়ে এই বনধ (Bharat Bandh) পালনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: WB Assembly: 'বিধানসভা মারপিটের জায়গা নয়, এরা রোজ অসভ্যতা করে, মার্শালকেও মেরেছে': ফিরহাদ


আরও পড়ুন: WB Assembly TMC BJP MLA Clash: বিধানসভায় 'বেনজির' রক্তারক্তি কাণ্ড! 'অনভিপ্রেত ঘটনা', তোপ স্পিকারের, ফোনে খোঁজ মুখ্যমন্ত্রীর


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)