নিজস্ব প্রতিবেদন: সুস্থ যৌনতার বার্তা দিতে অলিম্পিক্সকেই বেছে নিল দক্ষিণ কোরিয়া। গ্রাম থেকে শহর, নগর থেকে বন্দর, নিরোধ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর সঙ্গেই সেক্স নিয়ে যাবতীয় ছুঁতমার্গ ভাঙতে প্রচার চালিয়েছে মুনের দেশ। একই সঙ্গে চলেছে কন্ডোম বিলিও। শীতকালীন অলিম্পিক্সের আগে সে দেশে ১ লাখ কন্ডোম বিলি করেছে কনভিনিয়েন্স কো নামের কন্ডোম প্রস্তুতকারী সংস্থাটি। তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ১০ হাজার কন্ডোম বিলি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার এইডস নির্মূল প্রকল্পের প্রচারকারী সংস্থাও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- পঞ্জাব পুলিসের ডিএসপি হচ্ছেন হরমনপ্রীত


উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে রিও-তে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক্স-এ ৪ লাখ ৫০ হাজার কন্ডোম বিলি করা হয়েছিল। সে বারের তুলনায় পিয়ংচাং-এ অনুষ্ঠিত এ বারের শীতকালীন অলিমপিক্সে সেই হিসাবে মাত্র অর্ধেক কন্ডোমই বিলি করা হয়েছে। তবে, মুনের দেশের এই অভিনব প্রচার প্রগতির দৃষ্টিকোণ থেকে সাড়া ফেলেছে। আড়ালে আবডালে না থেকে এখন 'সেক্স' নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারছে কোরিয়ার টিনেজ, আলোচনা চলছে সোশ্যাল মাধ্যমেও। 


আরও পড়ুন- 'ডি ককের ভয়ের কোনও কারণ নেই', জানালেন ক্লাসেন


বসটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস মনে করছেন, "মুক্ত আলোচনার জন্য এটাই শ্রেষ্ঠ সময়।" বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েদের কাছে এই অভিনব উদ্যোগ যৌনতা নিয়ে ট্যাবু ভাঙতে সাহায্য করবে বলেই মত অধ্যাপক ক্রিসের। দক্ষিণ কোরিয়ায় সেক্স এডুকেশন তেমন ভাবে কার্যকরী না হওয়ায় সচেতনতার অভাবও রয়েছে বলে তাঁর মত। 


আরও পড়ুন- 'আফ্রিকার থেকে লড়াই চেয়েছিলাম আমরা'


উল্লেখ্য, দঃ কোরিয়া বিশ্বের সেই দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে যেখানে গণহারে গর্ভপাত হয়। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ায় শেষ কন্ডোম বিজ্ঞাপন সম্প্রচারিত হয়েছিল ২০১৩ সালে। এইডস নিয়ে প্রচারাভিযান হয়েছিল তারও এক দশক আগে। এমন পরিস্থিতিতে কন্ডোম বিলি এবং তার ফলে যৌন সচেতনতার পাঠ দেশের নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যকর হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


খেলার খবর জানতে দেখুন স্পোর্টস ২৪, রাত ৮ টা ৪০ মিনিটে। শুধুমাত্র ২৪ ঘণ্টায়