নিজস্ব প্রতিবেদন: নিম একটি ঔষধিগুণ সম্পন্ন, বহু বর্ষজীবি, চির হরিত বৃক্ষ। এ গাছের পাতা, ডাল— সবই কাজে লাগে। নিমের কাঠ অত্যন্ত শক্ত। উইপোকা বাসা বাঁধে না। ফলে নিম কাঠে কখনও ঘুণ ধরে না। নিম গাছে শুধু উইপোকা নয়, কোনও পোকাই বাসা বাঁধে না। তাই নিম কাঠ দিয়ে আসবাবপত্রও তৈরি করা হয়। আসুন এ বার নিমের ১০টি আশ্চর্য ঔষধিগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) নিম তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী।


২) নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস বিরোধী। তাই ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের আক্রমণের হাত থেকে ত্বকের সুরক্ষায় নিমপাতা অত্যন্ত কার্যকরী। ব্রণর সমস্যায় নিমপাতা বেটে লাগাতে পারলে ভাল ফল মেলে।


৩) নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ ভাল করে বেটে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। তবে হলুদ ব্যবহার করার পর রোদ এড়িয়ে চলাই ভাল। খেয়াল রাখতে হবে, মিশ্রণে নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ যেন কম হবে।


৪) নিমের ডাল দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। মুখের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ফাঁকে জীবাণুর সংক্রমণ রোধে নিম বেশ কার্যকরী।


৫) কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে ক্ষত স্থানে নিম পাতার রস ভেষজ ওষুধের মতো কাজ করে।


৬) নিম পাতা রোদে শুকিয়ে ভাল করে গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারলে পরবর্তীকালে তা ফেস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।


৭) মাথার ত্বকের চুলকানির সমস্যায় নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগাতে পারলে এই চুলকানির সমস্যা কমে যায়। তাছাড়া নিমপাতার রসে চুলের গোড়া শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা বা রুক্ষ ভাব কমে যায় এবং নতুন চুল গজাতে শুরু করে।


৮) শুধুমাত্র চুলের নয় ত্বকের যে কোনও চুলকানির সমস্যায় নিমপাতা বেটে লাগাতে পারলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।


৯) গায়ের দুর্গন্ধ বা ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।


১০) নিয়মিত সামান্য পরিমাণে নিমপাতা খেতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ নানা লিভারের সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। এরই সঙ্গে রক্ত পরিশুদ্ধ করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত, ক্ষতিকর উপাদান বের করে শরীর সুস্থ-সতেজ ও রোগমুক্ত রাখতে নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী।