কলা বিতর্কে জে ডাব্লিউ ম্যারিয়টের সমালোচনায় সামিল এ বার হোটেল পার্ক, পশ্চিম রেল!
তির্যক সমালোচনায় এই বিতর্কে যোগ দিয়েছে পশ্চিম রেলও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাত্র দু’টো কলার জন্য অভিনেতা রাহুল বোসকে যত লম্বা-চওড়া বিল ধরিয়েছিল, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার চেয়েও বড়সড় বিদ্রুপ, সমালোচনার ভীড়ে এখন রীতিমতো কোণঠাসা বিখ্যাত আন্তর্জাতিক বিলাসবহুল হোটেল চেন জে ডাব্লিউ ম্যারিয়ট (JW Marriott)। রাহুল বোসের ঘটনায় কড়া সমালোচনায় সামিল হয়েছেন দেশের বিভিন্ন মহলের, নানান পেশায় যুক্ত অসংখ্য মানুষ। কেউ লিখছেন, ‘২টো কলার দামের সঙ্গে বিলে যত টাকা জিএসটি জুড়েছে, তাতে তো এক ডজন কলা কেনা যেত!’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘মাল্টিপ্লেক্সে পপকর্ন কেনার সময় আমাদেরও এমনটাই মনে হয়!’
দেশের আম জনতার থেকে এই ঘটনায় এই ধরনের মন্তব্যই স্বাভাবিক! কিন্তু জে ডাব্লিউ ম্যারিয়টের অস্বস্তি বাড়িয়ে এই সমালোচনায় এখন সামিল হয়েছেন একাধিক নামী আন্তর্জাতিক বিলাসবহুল হোটেল চেন। নামী বিলাসবহুল হোটেল পার্ক বেঙ্গালুরুর ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘আমরা স্পা-এর সময় কমপ্লিমেন্টারি পরিষেবা হিসাবে এমননিই দিয়ে থাকি!’
বাণিজ্য, বিনিয়োগ বিশ্লেষক ও কৌশলগত পরামর্শদাতা সংস্থা ‘ক্যাপিট্যাল মাইন্ড’-এর প্রতিষ্ঠাতা, সিইও দীপক শেনয় তাঁর টুইটে মুম্বই সান্টাক্রুজ তাজের একটি টেমপ্লেট কার্ডের ছবি তুলে দিয়েছেন। এই কার্ডে লেখা রয়েছে, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গেই মৌসুমী গোটা ফল কমপ্লিমেন্টারি পরিষেবা হিসাবে দিয়ে থাকি। অনুগ্রহ করে আপনার প্রয়োজন জানান।’
আরও পড়ুন: ৪৪২ টাকায় দুটো কলা! JW ম্যারিয়টকে বড়সড় শাস্তি পাইয়ে ছাড়লেন রাহুল বোস
এখানেই শেষ নয়, তির্যক সমালোচনায় এই বিতর্কে যোগ দিয়েছে পশ্চিম রেলও। তাদের একটি টুইটে রাজস্থানের চিত্তরগড় ভ্রমণের প্যাকেজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখা হয়েছে, ‘৪৪২ টাকা দিয়ে দু’টো কলা না কিনে এর সঙ্গে আর ৩ টাকা জুড়ে পশ্চিম রেলের সঙ্গে ঘুরে আসুন ঐতিহাসিক স্থান।’
চণ্ডীগড়ের জে ডাব্লিউ ম্যারিয়ট (JW Marriott) অভিনেতা রাহুল বোসের থেকে দু’টো কলার দাম নিয়েছিল ৪৪২ টাকা। গোটা বিষয়টা ভিডিয়ো টুইটে জানান অভিনেতা। রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায় সে ভিডিয়ো। রাহুল বোসের টুইটের পর এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল শুল্ক দফতর। শুরু হয় তথ্য সংগ্রহ। সব দিক বিচার করার পর উপযুক্ত জবাব দিতে না পারায় চণ্ডীগড়ের জে ডাব্লিউ ম্যারিয়টকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলেছে শুল্ক দফতর। করমুক্ত পণ্যের উপর বেআইনি ভাবে কর নেওয়ার জন্যই এই জরিমানা করা হয়েছে।