ওয়েব ডেস্ক: কাঁথির এই ঘটনা প্রথম নয়। দেশের নানা প্রান্তে স্ত্রী বা বান্ধবীকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠছে বারবার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে পুরো কাণ্ডটাই ঘটানো হয়েছে এক্কেবারে ঠাণ্ডামাথায়, পরিকল্পনা করে। আর এর পিছনে রয়েছে তীব্র অপরাধমনস্কতা বলছেন মনোবিদরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২ জুলাই, ১৯৯৫, দিল্লি


প্রায় দু দশক আগের কথা। স্ত্রী নয়না সাহানিকে গুলি করে খুন করেন দিল্লির যুব কংগ্রেস নেতা সুশীল শর্মা। এরপরেই টুকরো টুকরো করে ফেলা হয় সেই দেহ। তারপর দেহ রেস্টুরেন্টের তন্দুরে পুড়িয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়। অভিজাত সেই হোটেলের তন্দুর থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে সন্দেহ হয় দিল্লি পুলিসের  কনস্টেবল ও হোমগার্ডের। ফাঁস হয়ে যায় পুরো ঘটনা। ভয়াবহ এই খুনের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায় দেশে।


ডিসেম্বর ২০১৩, মুম্বই


মুম্বইয়ের অভিজাত বহুতলে স্ত্রীকে খুন করেন গিরীশ কোটে নামে এক যুবক। এরপর সেই দেহ তিন টুকরো করে ফেলা হয়। প্লাস্টিকে মুড়িয়ে দুটি টুকরো রাখা হয় ফ্রিজে। তৃতীয় অংশটি লুকিয়ে রাখা হয় বেডরুমে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।


জুলাই ২০১৬, হায়দরাবাদ


কঙ্গোর মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন ব্যবসায়ী রূপেশ কুমার। স্ত্রীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেন তিনি। সুটকেসে ভরে সেই দেহ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করতেই ধরা পড়ে যান। একটু দূরে গাড়িতে তখন বাবার জন্য অপেক্ষা করছিল ৫ বছরের শিশু কন্যা।


৩০ অগাস্ট ২০১৬, দুর্গাপুর


বান্ধবী সুচেতা চক্রবর্তী ও তাঁর মেয়ে দীপাঞ্জনাকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেন দুর্গাপুরের ব্যাঙ্ক অফিসার সমরেশ সরকার। গাড়ি ভাড়া করে সুটকেসে করে সেই দেহ নিয়ে আসেন বারাকপুর ঘাটে, গঙ্গায় ডুবিয়ে দিতে।


কিন্তু প্রিয়জনকে এত ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন করা যায় ঠিক কোন মানসিকতায়? কী বলছেন মনোবিদরা। চূড়ান্ত স্বার্থপরতা আর মনের গভীরে লুকানো অপরাধ প্রবণতাই রয়েছে এই সব নৃশংসতার নেপথ্যে।