জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মান্না দে'র বিখ্যাত গান রয়েছে, ''ক'ফোঁটা চোখের জল ফেলেছ যে তুমি''। গানটির মর্মার্থ হল, জীবনে তুমি কী এমন কষ্টদুঃখ সয়েছ বা কতটা অশ্রুপাত করেছ যে, তুমি আজ এত সুখ ভোগ করবে? সোজা কথায়, কষ্ট না করেই তুমি কেষ্ট পেয়ে যাচ্ছ হয়তো, বা পেতে চাইছ। তবে কান্নাকে ভাবনার কেন্দ্রে রেখে তৈরি এই গানের নতুন তাৎপর্য চোখে পড়ছে এখন। কেননা, জানা যাচ্ছে, মানুষ নাকি এখন কাঁদতে ভুলে যাচ্ছে। এতই সঙ্গিন অবস্থা যে, সে ইন্টারনেটে কান্না শিখছে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: World No Tobacco Day: সঙ্গমের আগে বা পরে ধূমপান! লিঙ্গোত্থানে বা অর্গাজমে কোনও ম্যাজিক ঘটে?


শরীর-মন ভাল রাখতে লাফিং ক্লাবের গুরুত্ব আগেই জানা ছিল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মন-প্রাণ খুলে হাসলে ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো হয়, মানসিক চাপ কমে, শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণারও উপশম হয়। কিন্তু এসব তো পুরনো কথা। নিউ ফাইন্ডিংস হল, মনের বোঝা হালকা করতে কান্নারও বিপুল গুরুত্ব রয়েছে। দিনের কোনও একটা সময় নিয়ম করে কান্না জরুরি।


অথচ কান্না নিয়ে সভ্যসমাজে নানা সমস্যা। কান্না মানসিক দুর্বলতার প্রতীক। প্রকাশ্যে হাসা গেলেও কান্না চেপে রাখতে হয়। শুধু পুরুষ নন, যে কোনও ব্যক্তিই প্রকাশ্যে কান্না এড়াতে চান। রাস্তাঘাটে বাসেট্রেনে কোনও কারণে হঠাৎ করে কান্না পেয়ে গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে গোপন করতে হয়। অনেক সময়ে দেখা যায়, মানুষ তার কোনও বিশেষ অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে হয়তো কেঁদে ফেললেন। এর পরক্ষণেই তারা কান্নার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। ছোট বয়সে যেমন সহজেই কেঁদে ফেলা যায়, বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে আর তা তেমন ভাবে সম্ভব হয় না। কিন্তু অনেকেই ভাবেন, কান্না যদি অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম হয়, তাহলে কেন কাঁদা যাবে না?


বিশেষজ্ঞেরা বরং বলছেন, কথা বলতে গিয়ে বা কোনও অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কেঁদে ফেললে তাতে ক্ষমা চাওয়ার কোনও দরকার নেই। হাসার জন্য তো ক্ষমা চাইতে হয় না! তাহলে কান্নার জন্য কেন? তাছাড়া এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা চাইলেও কাঁদতে পারেন না। এদিকে শরীরের জন্য কান্না যদি ভালোই হয়, তাহলে কান্নায় নিষেধাজ্ঞা কীসের? এখন মানুষ সময় কাটায় না নিজের সঙ্গে। মন খারাপ হলে সে প্রসঙ্গে কৈফিয়ৎ দিতে হয় আত্মীয়-বন্ধু-পরিজনকে। এটা এক ধরনের পারিপার্শ্বিক চাপ। যে-চাপে পড়ে মানুষ কাঁদতে ভুলেই যাচ্ছে। কান্নায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। বরং উল্টো ছবিই দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু দেশে। ব্রিটেন বা জাপানের মতো দেশে দেশবাসীদের একাংশ লাফটার ক্লাবের মতো ক্রাইং ক্লাবে যাচ্ছেন। একটু কাঁদবার জন্য তাঁরা হাজার-হাজার টাকা খরচ করছেন। 


আরও পড়ুন: Vastu Tips: আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি চান? এই নিয়মে বাড়িতে রাখুন ময়ূর পালক, সৌভাগ্যে আসবে জোয়ার


আসলে কান্না পেলেও না কাঁদতে পারাকে এক প্রকার মানসিক সমস্যা বলেই মনে করেন মনোবিদদের একাংশ। না কেঁদে-কেঁদে চোখের অশ্রুগ্রন্থি নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে। এখনও মানুষ কান্না নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায় না। কিন্তু এবার এমন সময় আসছে, যখন কান্নাকে গুরুত্ব দিতে হবে। কাঁদতে হবে আপনাকে!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)