নিজস্ব প্রতিবেদন: জলের মধ্যে ভাসমান খামারে সার সার দিয়ে দাঁড়িয়ে গরু। ঝাঁ চকচকে খামার ডাঙার সঙ্গে যুক্ত একটি ছোট্ট ব্রিজ দিয়ে। তাই দিয়েই দিব্যি নামা ওঠা করছে গরু। অবাক হলেন তো? অবাক করার মতোই এমন অভিনব ভাসমান খামার বাড়ি রয়েছে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী অ্যামস্টারডামে। একটি-দুটি নয়, মোট ৩২টি গরু রয়েছে এই খামারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু হঠাৎ এত জায়গা থাকতে জলের মধ্যেই খামার কেন? আসলে অ্যামস্টারডামের পুরো শহরজুড়েই রয়েছে ছোট ছোট খাল। মূল শহরের মধ্যে ফাঁকা স্থান সেই অর্থে তেমন নেই বললেই চলে। জলের মধ্যে ভাসমান খামার তৈরি করার পেছনে রয়েছে একটি বড় কারণ।



আরও একটি কারণে এই ভাসমান খামারের ভাবনা আসে আর্কিটেকচার সংস্থা 'গোল্ডস্মিথের' দুই আর্কিটেক্ট পিটার ও মিনকে ভ্যান উইনগার্ডেনর মাথায়। সেই কারণটি হল গ্লোবাল ওয়ার্মিং। তাঁরা জানান, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ক্রমেই বাড়ছে পৃথিবীর জলস্তর। আর সেই কারণে হয়তো ভবিষ্যতে অভাব হতে পারে খামার করার মতো স্থানের। ফলে, জলেই ভাসমান খামার তৈরী করার মতো ভাবনা আসে তাঁদের মাথায়। খামারের ব্যবসায় উত্সাহী অ্যালবার্ট বোয়ারসেনেরও বিষয়টি পছন্দে আসে। তাঁরা যৌথ উদ্যোগে তৈরী করেন বিশ্বের প্রথম ভাসমান খামার।



তবে, খামারটি বানানোর ক্ষেত্রে সেটি যাতে দেখতে সুন্দর হয় সেই বিষয়টিও মাথায় রেখেছিলেন ইঞ্জিনিয়াররা। তার সঙ্গে খামারটি যাতে পরিবেশবান্ধব হয়, সেই বিষয়েও সচেতন ছিলেন তাঁরা। খামারের পাশেই রয়েছে ভাসমান সোলার প্যানেল। সেই সোলার প্যানেলের সাহায্যেই জ্বালানো হয় খামারের আলো।


আরও পড়ুন: মাছের নিলাম দেখতে এই বাজারে রাতভর লাইনে দাঁড়ান হাজার হাজার পর্যটক!


শুধু তাই নয়, খামারের ছাদের রেন পাইপের সঙ্গে যুক্ত একটি ট্যাঙ্ক। সেই ট্যাঙ্কে জমা বৃষ্টির জল পরিশোধন করে খামারের কাজে ব্যবহার করা হয়। ভাসমান  খামারে রয়েছে বেশ কয়েকটি গাছও। শহরের খেলার মাঠ ও বিভিন্ন বাগানে ঘাস ছাঁটার পর সেটি সংগ্রহ করেন খামারের কর্মীরা। সেই ঘাসই খাবার হিসাবে দেওয়া হয় গরুদের।



রোবটিক মেশিনের সাহায্যে দুধ দোওয়ানো হয়। দুই তলা খামারের নিচে রয়েছে স্টোর রুম। সেখানেই সংরক্ষণ করা হয় ডেয়ারির জিনিসপত্র। খামার থেকেই শহরের বিভিন্ন অংশে দুধ পাঠানো হয়। আপাতত খামারটি মিরউইহ্যাভেন নামে শহরের একটি বন্দর অঞ্চলে রাখা হয়েছে। তবে পরবর্তী পর্যায়ে স্থানান্তরিত করা সম্ভব এই ভাসমান খামার।