কোটি কোটি টাকার মাছের নিলাম দেখতে এই বাজারে রাতভর লাইনে দাঁড়ান হাজার হাজার পর্যটক!
প্রায় ৪০০ ধরনের মাছ পাওয়া যায় এই বাজারে। বছরে প্রায় ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের মাছ বিক্রি হয় এই বাজার থেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় ৪০০ ধরনের মাছ পাওয়া যায় এই বাজারে। বছরে ৭ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ রফতানি করা হয় এই বাজার থেকেই। বছরে প্রায় ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের মাছ বিক্রি হয় এই বাজার থেকে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাছের বাজার, জাপানের সুকিজির মাছের বাজার।
১৯৩৫ সাল থেকে টোকিওর সুকিজি জেলায় গড়ে ওঠে দেশের সবচেয়ে বড় মাছের বাজার। পরে মাছের লেনদেন বাড়তে বাড়তে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাছের বাজার হয়ে উঠেছে এই সুকিজি মার্কেট। টুনা, শোর্ডফিশ, সার্ডিনসের মতো মাছের পাশাপাশি কখনও কখনও তিমি মাছও বিক্রি হয় এই বাজারে। চারশোরও বেশি প্রজাতির মাছ বিক্রি হয় সুকিজি মার্কেটে।
১৯৩৫ সালের আগে জাপানের উগাশি শহরে ছিল এই মাছের আড়ৎ। ১৯২৩ সালে টোকিওয় ভয়াবহ ভুমিকম্পে। ধূলিসাৎ হয়ে যায় উগাশির মাছের বাজার। পরে ধীরে ধীরে সুকিজিতে সরিয়ে আনা হয় এই মাছের বাজার।
আরও পড়ুন: মাটির স্তূপে লুকিয়ে থাকা চিতাবাঘ খুঁজতে গিয়ে ভাইরাল হল ছবিটি!
এই বাজারে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মাছের লেনদেনের পাশাপাশি বসে নিলামের আসরও। লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ নিলাম হয় সুকিজি মার্কেট। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক সুকিজি ঘুরতে আসেন শুধু এই মাছের বাজার দেখবেন বলে। সুকিজি মার্কেট প্রতিদিন ভোর ৫টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত চলে নিলাম। আর এই নিলাম দেখার জন্য সারা রাত বাজারে অপেক্ষা অসংখ্য পর্যটক। রাতা রাত অপেক্ষার পরেও হাতে গোনা কয়েক জন পর্যটকই এই নিলাম দেখার সুযোগ পান। ২০১৩ সালে সুকিজি মার্কেট ২২২ কিলোগ্রাম (৪৮৯ পাউন্ড) ওজনের একটি ব্লু ফিন টুনা নিলাম হয়েছিল অবিশ্বাস্য দামে। নিলামে এই মাছের দর ওঠে ১৭ লক্ষ ৬০ হাজার ডলার (ভারতীয় মূদ্রায় যা প্রায় ১২ কোটি টাকা)। শোনা যাচ্ছে, ২০২০ অলিম্পিক টোকিওতে হওয়ার কারণে সুকিজি মার্কেট অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে।