নিজস্ব প্রতিবেদন: যাঁরা বিবাহিত, তাঁরা মনে করেন, ‘একাই ভাল ছিলাম’। আবার যাঁরা নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছেন তাঁরা একজন মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার নানা চেষ্টা করে চলেছেন প্রতিনিয়ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আসলে সব কিছুরই ভাল বা মন্দ দিক আছে। অনেকেই মনে করেন, সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে হয়তো জীবন তার স্বাধীনতা হারাবে! হারিয়ে যেতে পারে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দও। এই জাতিয় ধারণা থেকে অনেকেরই বিবাহিত জীবন সম্পর্কে বা নিছক প্রেমের সম্পর্কে জরানোর ক্ষেত্রেও অনিহা কাজ করে। শুধুমাত্র জীবনযাপনের স্বাধীনতার প্রশ্নেই নয়, এমন আরও বেশ কিছু যুক্তিতে অধিকাংশ ছেলেরাই একা থাকতে পছন্দ করে। তবে এক এক জনের একা থাকার কারণ একেক রকম।


মার্কিন মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক লিসা ফায়ারস্টোন জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ২০ হাজারেরও বেশি ‘সিঙ্গল’ পুরুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে তাঁদের মতামত সংগ্রহ করে যে উত্তরগুলি পাওয়া গিয়েছে সেগুলিকে ৪৩টি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই উত্তরগুলি বিশ্লেষণ করে মনোবিজ্ঞানীরা প্রধান ছ’টি কারণ জানতে পারেন। মার্কিন পত্রিকা ‘ইভলিউশনারি সাইকোলজিকাল সায়েন্স’-এ প্রকাশিত হয়েছে ছেলেদের ‘সিঙ্গল’ থাকার পেছনে প্রধানই ছ’টি কারণ। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই কারণগুলি...


ছেলেদের একা থাকতে চাওয়ার প্রধান ৬টি কারণ:—


১) সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ছেলেদের সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে মূলত আত্মবিশ্বাসের অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই তারা একা থাকতে চায়।


২) অনেকে বলেছেন, সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা খুব বেশি মাথা ঘামাতে চান না। আর এ থেকেই সম্পর্ক থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন ছেলেরা।


৩) অনেকে বলেছেন, সম্পর্ক গড়তে তাঁদের কোনও রকম ইচ্ছেই নেই। তবে এই সংখ্যাটা নেহাত কম।


৪) সমীক্ষায় ৬৬০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর উত্তর ছিল— তাঁরা দেখতে ভাল নয় বলে একা থাকতে চান। অর্থাৎ, আত্মবিশ্বাসের অভাব বা হীনমন্যতার কারণে এই সব ছেলেরা কোনও রকম সম্পর্কে জরাতে চান না।


আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার মাছের নিলাম দেখতে এই বাজারে রাতভর লাইনে দাঁড়ান হাজার হাজার পর্যটক!


৫) অনেকে তাদের ভেঙে যাওয়া সম্পর্ককে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন এবং তাঁরা যে মহিলাদের আর বিশ্বাস করতে পারেন না, সেটাও বলেছেন।


৬) সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ, অনেক পুরুষই নাকি খুব ইন্ট্রোভার্ট ও লাজুক। তাই মেয়েদের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে জড়তা অনুভব করেন। আর এ জন্যই তাঁরা একা থাকতেই পছন্দ করেন।