জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতীয় সমাজজীবনে এক যুগান্তকারী ঘটনা। হ্যাঁ, 'সমাজজীবনে'ই, যদিও বিষয়টি ধর্মসংক্রান্ত। কেননা, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন মূলত সন্ন্যাসীদেরই এক সংগঠন, কিন্তু শুধু তো ধর্ম নয়, শিক্ষা-সমাজ-স্বাস্থ্য নানা কিছুর সঙ্গেই সে এই বঙ্গজীবনে, ভারতীয়জীবনে এমনকি বহির্ভারতীয়দের জীবনেও বিজড়িত। এ হেন এক বিরল প্রতিষ্ঠান গত বছরই পেরিয়েছে এক মাইলস্টোন। ১৮৯৭ সালের ১ মে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস। খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যে, আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসের দিনেই এই সন্ন্যাসী সংঘের প্রতিষ্ঠা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Labour Day 2023: সোমবার ঐতিহাসিক মে দিবস, জেনে নিন কেন পালন হয় এই দিন


স্বামী বিবেকানন্দের নেতৃত্বে উত্তর কলকাতার বাগবাজারের বলরাম বসুর বাড়িতে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওই দিনটিকেই রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে মনে করা হয়। ১ মে ১৮৯৭ থেকে ১ মে ২০২২-- ১২৫টি বছরের পরিক্রমা শেষ। এ বছর, ২০২৩ সালে রামকৃষ্ণ মিশন কাগজে-কলমে ১২৬ বছরে পা দিল। গত বছরটিকে বিশেষ ভাবে পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে। ১২৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছিল একটি স্মারক সংকলনগ্রন্থও। 


আরও পড়ুন: International Dance Day 2023: ভারতের ৫ লোকনৃত্য যা অনেকেরই অজানা, জেনে নিন...


শ্রীরামকৃষ্ণকে কেন্দ্র করে মানুষকে ঈশ্বরজ্ঞানে নিষ্কামভাবে সেবা এবং জপ-ধ্যান-- মূলত এই লক্ষ্যেই এই সংঘের প্রতিষ্ঠা। সবটাই ধর্ম-সাধনার অঙ্গ। এই লক্ষেই শ্রীরামকৃষ্ণের অভিপ্রেত সন্ন্যাসীসংঘ গড়ে উঠল স্বামীজির নেতৃত্বে। এই মিশনের প্রধান উদ্দেশ্য-- 'আত্মনো মোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চঃ'--নিজের মুক্তির সঙ্গে জগতের হিত। সঙ্গে বেদান্তের নির্দেশিকায় শ্রীরামকৃষ্ণের জীবন ও শিক্ষার আলোকে পথ চলা।


রামকৃষ্ণ মিশন জন্মলগ্ন থেকেই নানা সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে। মানবসেবা এবং মানবসেবার মাহত্ম্য ঘোষণা, শিক্ষাদান, আর্তকে অন্নবস্ত্র দেওয়া ও বাসস্থানের ব্যবস্থা, পাশাপাশি ধর্মীয় প্রচার-- এই সবটা নিয়েই রামকৃষ্ণ মিশনের কর্মকাণ্ড। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)