গিনেসের পাতায় দাড়ি নারী
`...লক্ষ ব্লেডেও কামালে যে উঠবে নাকো গোঁফ আর দাড়ি...` মনে পড়ছে মৌচাক সিনেমায় উত্তম কুমারের লিপে সেই অমর গান। আর কোনও কিছুতেই যখন নারী শক্তিকে হারাতে পারছে না পুরুষ সিংহেরা তথনই নারীদের কাবু করতে উত্তমের এই `দাড়ি যুক্তি`। প্রাকৃতিক নিয়মেই দাড়ি-গোঁফে পুরুষের একার অধিকার ছিল এতকাল। কিন্তু আর তা থাকল না, কারণ, এক দাড়ি-নারীর আবির্ভাব। এ নারীর গালে শোভা পাচ্ছে ছয় ইঞ্চি লম্বা দাড়ি, আর তা দিয়েই তিনি ঢুকে পড়লেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।
ওয়েব ডেস্ক: "...লক্ষ ব্লেডেও কামালে যে উঠবে নাকো গোঁফ আর দাড়ি..." মনে পড়ছে মৌচাক সিনেমায় উত্তম কুমারের লিপে সেই অমর গান। আর কোনও কিছুতেই যখন নারী শক্তিকে হারাতে পারছে না পুরুষ সিংহেরা তথনই নারীদের কাবু করতে উত্তমের এই 'দাড়ি যুক্তি'। প্রাকৃতিক নিয়মেই দাড়ি-গোঁফে পুরুষের একার অধিকার ছিল এতকাল। কিন্তু আর তা থাকল না, কারণ, এক দাড়ি-নারীর আবির্ভাব। এ নারীর গালে শোভা পাচ্ছে ছয় ইঞ্চি লম্বা দাড়ি, আর তা দিয়েই তিনি ঢুকে পড়লেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।
সবচেয়ে কম বয়সী (মাত্র চব্বিশ বছর) মহিলা হিসাবে ছয় ইঞ্চির দীর্ঘতম দাড়ি রাখার কারণে হারনাম কউরের নাম উঠল গিনেস বুকে। নিজের এই সাফল্যকে 'অ্যাবসোলিউটলি হাম্বলিং' বলে ব্যাখ্যা করেছেন পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত (যে রোগের ফলে মুখে 'অস্বাভাবিক' রোমের জন্ম হয়) র্যাম্প মাতিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েট নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা!
তবে, সমাজের দৃষ্টিতে 'দাড়িওয়ালা কুৎসিত রূপের' কিশোরী হরনাম কউর থেকে আজকের ফ্যাশন ডিভা মিস কউরের লড়াইটা মোটেই সহজ ছিল না। তাঁকে নানান কটূ কথা ও গঞ্জনা শুনতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন হরনাম নিজেই। আর তাই, আজ এই স্বীকৃতি পাওয়ার লগ্নে তাঁর গলায় দৃপ্ত বার্তা, "আমার এই রেকর্ড থেকে অনেকেই অনুপ্রেরণা পাবে। তুমি কে, তোমায় কেমন দেখতে এসবই অপ্রাসঙ্গিক, আসল কথা তোমোকে সত্যিই দারুণ দেখতে।" হরনামের এই অসাধারণ উপলব্ধি আবারও প্রমাণ করল সেই অমোঘ ভাবনাকে- "যিনি দেখছেন তাঁর চোখেই সৌন্দর্য ধরা দেয়"। সত্যিই তো তাই।