ওয়েব ডেস্ক: রিকশায় চেপে স্কুলে চলেছে ছোট্ট ছেলেটি। পাশে মা। খিদের মুখে কলার খোসা ছাড়িয়ে কলাটা মুখে দেওয়ারও সময় পায় না সে। কলাটা চিবোতে থাকে, আর তার মা তাকে অঙ্ক বোঝাতে থাকেন। স্কুলের দরজা পেরিয়েও নিস্তার নেই সেই শিশুর। মা মুখ বাড়িয়ে বলে দেন, ভালভাবে রিভাইজ করো কেমন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উচ্চাশাহীন স্বামী মানসকে নিয়ে তৃপ্ত নন মমতা। সেখান থেকেই তিনি ঘোড়দৌড়ের বাজি ধরেন ছেলে শমীকের ওপর। মমতা বলেন, তাঁর ছেলে অক্সফোর্ডে যাবে, সেখান থেকে হার্ভার্ড। সন্তানের ওপর নিজের ব্যর্থ উচ্চাশা আর স্বপ্নের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার এ এক মানসিক অসুস্থতা। তার বীজ অনেক মায়ের বুকেই বাসা বেঁধে রয়েছে।


আরও পড়ুন জানুন ব্রেক-আপের পর কোন রাশির কেমন প্রতিক্রিয়া হয়


চোখের বালি উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথও ওভার পজেসিভ মায়ের কথা লিখেছেন। বিভূতিভূষণ অপরাজিত উপন্যাসে আরও সাঙ্ঘাতিক। তিনি লিখেছেন, "সর্বজয়ার মৃত্যুর পর অপু এক বাধাবন্ধনহীন মুক্তির আনন্দ লাভ করিল।''


কিন্তু সেই মায়েরা ভুলেও ভাবছেন না, এই অবসেশন কীভাবে ক্ষতি করছে সন্তানের। মনস্তত্ববিদরা বলছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিশুর ব্যবহারিক জীবনে অভিভাবকদের অবসেশনের প্রভাব পড়তে শুরু করে। জেদি হতে শুরু করে শিশুরা। অবাধ্য হতে থাকে তারা। কাছের মানুষের কাছ থেকে দূরে সরতে থাকে। মিথ্যে বলার অভ্যাস তৈরি হয়। অভদ্র আচরণ করতে থাকে। নিজের কুকীর্তি ঢাকতে একের পর এক মিথ্যে বলে যায় তারা। কখনও কখনও স্কুল পালানোর অভ্যাসও তৈরি হয়ে যায়। চরিত্রে বাসা বাঁধতে থাকে সাঙ্ঘাতিক ইগো। বাবা-মায়ের অবসেশন অনেক সময় বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সন্তানের অস্বাভাবিক আচরণেরও কারণ হয়ে ওঠে।


আরও পড়ুন এই ৬ ধরনের পুরুষের মধ্যে প্রতারণার স্বভাব বেশি থাকে


ঠিক যেমনটা মমতা এবং শমীকের স্নেহজর্জরিত জীবনকে বইয়ে দিয়েছিল এক অন্য খাতে। স্নেহের আঁচল ছাড়িয়ে শমীক চলে যায় মুম্বই। সে স্বীকারও করে নেয়, কিছুই করতে পারবে না তার মা। অনার্স পরীক্ষাটাই তো সে দেয়নি। আর মমতার কোলে ছুরির মতো গেঁথে পড়ে শমীকের বিয়ের সার্টিফিকেট।