Raksha Bandhan 2024: ভদ্রার ছায়া জানেন তো, রাহুকাল? এসব না জেনে ভুলে করে অশুভ সময়ে রাখি বাঁধলে কিন্তু...
Raksha Bandhan 2024: রাখিবন্ধনের দিনেই শ্রাবণী পূর্ণিমাও। পঞ্জিকা বলছে, শ্রাবণের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় রাখিবন্ধন। তবে এই তিথিতে কোন সময়ে ভদ্রা নক্ষত্রের ছায়া থাকে, সেটা খেয়াল রাখা হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাখিবন্ধনের সঙ্গে বাঙালির অনেক আবেগ জড়িত। বঙ্গভাগ-রুখে দেওয়া ঠাকুরবাড়ির রাখিবন্ধন উৎসব যেমন এ প্রসঙ্গে সবার আগে চলে আসে, তেমনই আসে ভাইয়ের হাতে বোনেদের রাখি বেঁধে দেওয়ার চিরকালীন শুভ অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন: Glacial Lake Outburst: ভয়ংকর শব্দে দুরন্ত গতিতে এসে আছড়ে পড়ল বরফের বিশাল পাহাড়! তারপর...
এ বছর কবে রাখি, এ নিয়ে একটা ধন্দ সাময়িক তৈরি হয়েছিল। আজ, ১৮ অগাস্ট, নাকি আগামীকাল ১৯ অগাস্ট রাখি-- এ নিয়ে একটা সংশয় প্রাথমিক ভাবে তৈরি হয়েছিল। তবে সেটা মিটে গিয়েছে। ১৯ অগাস্ট, সোমবারই রাখি।
এবার একটা সমাপতনও ঘটেছে। রাখিবন্ধনের দিনেই শ্রাবণী পূর্ণিমাও। পঞ্জিকা বলছে, শ্রাবণের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় রাখিবন্ধন। তবে এই তিথিতে কোন সময়ে ভদ্রা নক্ষত্রের ছায়া থাকে, সেটা খেয়াল রাখা হয়। কেননা রাখি বাঁধার জন্য ভদ্রা ব্যাতীত সময়টিকেই শুভ সময় বিবেচনা করা হয়। ভদ্রাকে অশুভ মনে করা হয়। এই সময়ে যে কাজ করা হয় তাতে শুভ ফল পাওয়া যায় না, এমনই বিশ্বাস।
রাখিবন্ধনে ভদ্রা নক্ষত্রের ছায়া
এবার রাখিবন্ধনে ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভদ্রার ছায়া থাকবে। ভদ্রা থাকবে সকাল ০৫ টা ৫৩ মিনিট থেকে দুপুর ০১ টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত।
রাখিবন্ধনে রাহুকাল
রাহুকালেও রাখি বাঁধা উচিত নয়। এটিও অশুভ সময়। রাখিবন্ধনের দিন রাহুকাল থাকবে সকাল ০৭ টা ৩১ মিনিট থেকে ০৯ টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত।
রাখিবন্ধনের শুভ সময়
শ্রাবণ পূর্ণিমা তিথির শুরু ১৯ অগাস্ট, সোমবার, ভোর ৩ টে ০৪ মিনিটে, তিথির সমাপ্তি ১৯ অগাস্ট, সোমবার, রাত ১১ টা ৫৫ মিনিটে। এই হিসেবে ১৯ অগাস্টেই রাখিবন্ধন উৎসব উদযাপন করা উচিত।
রাখিবন্ধনের সঠিক সময়
এই সব হিসেব মাথায় রাখলে ১৯ অগাস্ট রাখিবন্ধনের দিন রাখি বাঁধার সঠিক সময় হল বিকেলবেলা। ওই দিন, বোনেরা তাঁদের ভাইদের হাতে রাখি বাঁধতে পারেন দুপুর ১ টা ৩২ মিনিট থেকে রাত ৯ টা ০৮মিনিটের মধ্যে।
আরও পড়ুন: Pakistan: বাল্যবিবাহের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে! কেন জানেন? পড়ুন 'মনসুন ব্রাইডে'র করুণ কাহিনি...
(Disclaimer: প্রচলিত ধর্মীয় রীতি, শাস্ত্র বা তত্ত্বের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি মানা বা না মানার সুপারিশ করা হচ্ছে না। বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয়। সচেতন পাঠক যা করবেন স্বদায়িত্বে। আমাদের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও দায়বদ্ধতা নেই।)