Mahalaya-Tarpan | Durga Puja Special: গঙ্গায় সম্ভব নয়? ঘরেই সহজে শুদ্ধাচারে করুন তর্পণ; মেয়েরাও করতে পারেন...
Mahalaya 2024: শাস্ত্রমতে, মহালয়া একটি অমাবস্যা তিথি। এ তিথিতে সাধারণত পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ-তর্পণ করা হয়। এ দিন তর্পণ করলে পিতৃপুরুষেরা নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান বলে বিশ্বাস। তাঁরা এই প্রাপ্তিতে তাঁদের উত্তরপুরুষদের আশীর্বাদও করেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আর কয়েকদিন পরেই মহালয়া। এবার ২ অক্টোবর মহালয়া পড়েছে। দুর্গাপুজোর সঙ্গে দিনটি ওতপ্রোত জড়িত। তবে দুর্গাপুজোর সঙ্গে এর সরাসরি কোনও যোগ নেই। শাস্ত্রমতে, মহালয়া এক অমাবস্যা তিথি, এ তিথিতে সাধারণত পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ কিংবা তর্পণ করা হয়। বিশ্বাস, এদিন তর্পণ করলে পিতৃপুরুষরা নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান। তাঁরা এদিন জল পেয়ে খুশি হয়ে তাঁদের উত্তরপুরুষদের আশীর্বাদও করেন।
আরও পড়ুন: DVC Releasing Water: আজ সকালেও ড্যাম থেকে বিপুল জল ছেড়েছে ডিভিসি! বন্যা-পরিস্থিতি কি আরও খারাপ হল?
মহালয়া হল পিতৃপক্ষ দেবীপক্ষের সন্ধিদিন। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী অমাবস্যা র্পযন্ত (যা আশ্বিন মাসে পড়ে) সময় হল পিতৃপক্ষ। পুরাণমতে, ব্রহ্মার নির্দেশে পিতৃপুরুষরা এই ক'দিন মনুষ্যলোকের নিকটে আসেন। এই সময়ে তাঁদের উদ্দেশ্যে কিছু অর্পণ করাই রীতি। লোকবিশ্বাস, এই সময়ে আত্মাদের উদ্দেশ্যে কিছু অর্পণ করা হলে তা সহজেই তাঁদের কাছে পৌঁছয়। এই বিশ্বাস থেকেই গোটা (পিতৃ) পক্ষকাল (১৫ দিন) ধরে পিতৃপুরুষদের স্মরণ করা হয়, তর্পণ করা হয়।
এবার ২ অক্টোবর মহালয়া। ওইদিন ভোর থেকেই পিতৃপুরুষদের প্রতি জল অর্পণ করবেন মানুষ। তিথিটি পড়ে যাচ্ছে আগের রাত থেকেই। তবে ভোরের দিকেই পালিত হয় এ সংক্রান্ত রিচুয়্যালস। কুতুপ মুহূর্ত বলে একটি কথা আছে। ধরা হয়, ওই সময়টাই তর্পণ করার শ্রেষ্ঠ সময়। গঙ্গাজল, তিল, সাদা ফুল, কুশ ইত্যাদি দিয়ে তর্পণ অনুষ্ঠান হয়। তবে, অনেক সময়েই অনেকের পক্ষে তর্পণ করার জন্য গঙ্গায় যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে, তাতে কোনও অসুবিধা নেই, কেননা, বাড়িতেই একজন সুব্রাহ্মণ ডেকে তর্পণ করা যেতেই পারে।
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হল, একটা ধারণা ছিল, মেয়েরা নাকি তর্পণ করতে পারেন না। তবে পরবর্তী কালে এই সব ট্যাবু অচল হয়ে গিয়েছে। এখন মেয়েরাও তর্পণ করতে পারেন।
মর্ত্যে ১৫ দিন ধরে এই স্মরণ-তর্পণ করার জন্যই পাঠানো হয়েছিল কর্ণকে। সেটা একটা আলাদা কাহিনি। অনেকেই দিনটিকে দেবীপক্ষের সূচনা বলে থাকেন। মহালয়া পিতৃপক্ষের শেষ দিন। পরের দিন শুক্লা প্রতিপদে দেবীপক্ষের সূচনা। সেই দিন থেকে কোজাগরী পূর্ণিমা পর্যন্ত ১৫ দিন হল দেবীপক্ষ।
প্রসঙ্গত, মহালয়ার দিনে অনেক জায়গায় দেবী দুর্গার বোধনও হয়। 'বোধন' অর্থে জাগরণ। মহালয়ার পরে দেবীপক্ষের তথা মাতৃপক্ষের তথা শুক্লপক্ষের প্রতিপদে ঘট বসিয়ে শারদীয় দুর্গাপুজোর সূচনা করা হয়।