নিজস্ব প্রতিবেদন: সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবিটি অনেকেই ছোলেবেলার স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। ছবিটির গল্পে দেখা হিরের খনি, ছন্দ মেলানো কাব্যিক সংলাপ, হীরক রাজার কোষাগারে বাঘের মুখোমুখি গুপি-বাঘা... আজও স্পষ্ট মনে আছে অনেকেরই। এমনই একটি হিরের খনির খোঁজ মেলে আজ থেকে ৬৪ বছর আগে। যেখান থেকে একটা সময় প্রতি মাসে প্রায় ১৬৬ কেজি হিরে পাওয়া যেত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রাশিয়ার মির হিরের খনির কথা বলছি। ১৯৫৫ সালে রুশ ভূবিজ্ঞানী ইউরি খবরদিনের নেতৃত্বে একটি দল এই হিরের খনির সন্ধান পান। ১৯৫৭ সাল থেকে এখানে খনন কাজ শুরু হয়। এই মহামূল্য আবিষ্কারের জন্য ওই বছরই ‘লেনিন প্রাইজ’ সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পুরস্কার দেওয়া হয় ইউরি খবরদিনকে।


রাশিয়ার মির হিরের খনির জন্য যে গহ্বর তৈরি হয়েছে, সেটি পৃথিবীর চতুর্থ গভীরতম। এটির গভীরতা ১,৭২২ ফুট এবং ব্যাস ৩,৯০০ ফুট। ১৯৬০ সাল থেকে বছরে ২ হাজার কেজি হিরে পাওয়া যেত। এখানে খননকাজ শুরুর প্রথম কয়েক বছর প্রতি ৯০৭ কিলোগ্রাম আকরিক থেকে ৪ ক্যারেট হিরে পাওয়া যেত।



আরও পড়ুন: আমাজনে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ইলেকট্রিক ইল! এক ছোবলেই ৮৬০ ভোল্ট বিদ্যুতের ঝটকা, অবধারিত মৃত্যু!


২৩ ডিসেম্বর, ১৯৮০ সালে মির থেকে সবচেয়ে বড় হিরেটি পাওয়া যায়। হিরেটির ওজন ছিল ৩৪২.৫ ক্যারেট (৬৮ গ্রাম)। ২০০৪ সাল পর্যন্ত মির-এ খননকাজ চালু ছিল। এর পর খনিটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে ফের এখানে হিরের সন্ধানে খননকাজ শুরু করা হয়। তবে এ বার মাটির নিচে সুরঙ্গ কেটে খননের কাজ করা হচ্ছে। আরও অন্তত ৫০ বছর এখানে খননকাজ চালিয়ে যাওয়া যাবে বলে মত ভূবিজ্ঞানীদের।