আমাজনে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ইলেকট্রিক ইল! এক ছোবলেই ৮৬০ ভোল্ট বিদ্যুতের ঝটকা, অবধারিত মৃত্যু!
আমাজনে সন্ধান মিলল বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ইলেকট্রিক ইলের! বিগত ৫০ বছর ধরে এই অঞ্চলে বংশবিস্তার করে চলেছে এই প্রাণীটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিবেশ ও প্রাণীবিজ্ঞানীদের মতে, অ্যামাজনের জঙ্গলের উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলের বেশিরভাগটাই এখন অজানা, রহস্যে মোড়া। এই অঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি, মাছ আর প্রাণীকে নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি দু’টি নতুন প্রজাতির ইলেকট্রিক ইলের (Electrophorus voltai) সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যেগুলির বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা সাংঘাতিক। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই দু’টি নতুন প্রজাতির ইলেকট্রিক ইল এক ছোবলে ৬৫০ ভোল্ট থেকে প্রায় ৮৬০ ভোল্ট বিদ্যুতের ঝটকা দিতে সক্ষম। অর্থাৎ, এর এক ছোবলে মৃত্যু অবধারিত।
এই দু’টি নতুন প্রজাতির ইলেকট্রিক ইল প্রসঙ্গে ‘স্মিথসোনিয়াম ন্যাশনাল মিউজিয়াম’-এর (Smithsonian National Museum of Natural History) প্রাণীবিদ সি ডেভিড দে সান্টানা জানিয়েছেন, বিগত ৫০ বছর ধরে এই প্রজাতির ইল আমাজন অববাহিকায় বসবাস করছে। ইলেকট্রোফোরাস ভোল্টাই বা ইল সাধারণত ৬ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় আর এর ওজনে হয় ১৫ থেকে ২০ কেজি। নতুন এই দুই প্রজাতির ইল লম্বায় অনেকটাই বড় আর ওজনও বেশি। তবে এগুলির মূল বৈশিষ্ট্যই হল এদের উচ্চ মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা।
মঙ্গলবার ‘নেচার কমিউনিকেশন’ নামের পরিবেশ বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন এই দুই প্রজাতির ইল ৫০০-৮০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। নতুন এই দুই প্রজাতির ইলের শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহের পরিমাণ প্রায় ১ অ্যাম্পিয়ার এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ চলে ১-২ মিলি সেকেন্ড পর্যন্ত। বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন, শিকার ধরার সময় বা কোনও রকম বিপদের সংকেত পেলে, আত্মরক্ষার জন্য এই বিদ্যুৎ তারা ব্যবহার করে থাকে। বিদ্যুতের ঝটকায় শিকার বা শত্রুকে কাবু করে ইল। প্রাণীবিদদের মতে, নতুন এই দুই প্রজাতির ইল আরও বেশি ক্ষিপ্র আর এদের বিদ্যুৎ তৈরির ক্ষমতা অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: প্রতি বছর এখানে আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে লক্ষ লক্ষ মাছ!
প্রাণীবিদ সি ডেভিড দে সান্টানা জানান, ইলেকট্রোফোরাস ভোল্টাই (ইল) ছাড়াও, ইলেকট্রোফোরাস ভারি ও ইলেকট্রোফোরাস ইলেকট্রিকাস— এই দুই প্রজাতিও ক্রমশ বেড়ে চলেছে আমাজন অববাহিকায়। এই তিন প্রজাতির ডিএনএ-র গঠন পরীক্ষা করে তাদেরই উত্পত্তির বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।