ওয়েব ডেস্ক: ব্যাঙ্কের সুদ কমায় উদ্বিগ্ন সিনিয়র সিটিজেনরা। ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের ভরসাতেই তাঁদের সসম্মানে বেঁচে থাকা। তাতেও হাত দিচ্ছে নয়া অর্থনীতি? ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে প্রবীণ ভারত। জীবন পৌছেছে গোধুলিতে। এখন নাতি নাতনির সঙ্গে দিন কাটানোর কথা। কিন্তু, বিধি বাম। নিয়মিত লাইন দিতে হচ্ছে ব্যাঙ্ক কিংবা ATM-এ। তার ওপর ফিক্সড ডিপোজিটে সুদ কমাচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি। উদ্বেগে ভুগছে প্রবীণ ভারত।  ব্যাঙ্কগুলি অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছে কম সুদ কিছুতেই বেঁচে থাকার পথে বাধা হবে না। ব্যাঙ্কগুলি যুক্তি দিচ্ছে ক্রয়ক্ষমতায় সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই কমানো হচ্ছে সুদ। বলছে ব্যাঙ্কগুলি। কীভাবে?  মুদ্রাস্ফীতির হার ১০% হার ১০ টাকার কোন পণ্যে বাড়তি গুণতে হয় ১ টাকা। মুদ্রাস্ফীতি সহ ওই ১০ টাকার পণ্যের বাজারদর দাঁড়ায় ১১ টাকা।ব্যাঙ্কে সুদের হার ৮% হলে সমতূল টাকা এক বছর ব্যাঙ্কে রেখে মিলবে ১০ টাকা ৮০ পয়সা।অর্থাত্‍ ব্যাঙ্ক ৮% হারে সুদ দিলেও গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতা পণ্যের বাজারদরের নীচেই থাকবে ।ব্যাঙ্কগুলিতে নগদের জোগান বাড়ায় কমেছে মুদ্রাস্ফীতির হার। নোট বাতিলের পর পাওয়া সর্বশেষ সূচকে পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৩.৩৯%।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন ব্যাঙ্ক ঋণের সুদ কমায় আলগা হবে EMI-এর ফাঁস


এখন ১০ টাকার কোনও পণ্যে মুদ্রাস্ফীতি বাবদ বাড়তি গুণতে হবে ৩৩ পয়সা। মুদ্রাস্ফীতি সহ বাজারে কোনও পণ্যের দাম দাঁড়াচ্ছে ১০ টাকা ৩৩ পয়সা। ব্যাঙ্কে সুদের হার ৬% হলে সমতূল টাকা ১ বছর ব্যাঙ্কে রেখে মিলবে ১০ টাকা ৬০ পয়সা । অর্থাত্‍ মুদ্রাস্ফীতি কমার পর ব্যাঙ্ক ৬% হারে সুদ দিলেও গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতা পণ্যের বাজারদরের ওপরেই থাকবে। ফিক্সড ডিপোজিটের পাশাপাশি, সুদ কমবে ব্যাঙ্কঋণেও। যুক্তি দিচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি। যদিও তাতে উদ্বেগ যাচ্ছে না প্রবীণদের। ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের ওপরেই যাঁদের অবসর জীবন কাটে। নোট বাতিলের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভারতের পাইকারি বাজার। তার ওপর সুদ ছাঁটাই নতুন কোনও সঙ্কট ডেকে আনবে না তো? দুশ্চিন্তা যাচ্ছে না আমানতকারীদের।


আরও পড়ুন  নোট বাতিলের জের, ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে ঢুকেছে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা