রেপো রেট, রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল RBI, গৃহঋণে নেই ছাড়
বাজেটের পর এই প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বাধীন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ছয় সদস্যের মনিটারি পলিসি কমিটি ঋণনীতি ঘোষণা করেছে। বাজেটের পর এই প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। গৃহ এবং ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে কোনওরকম ছাড় দেওয়া হল এই নীতিতে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার দ্বি-মাসিক মুদ্রা নীতি পর্যালোচনাতে মূল নীতির হারগুলি অপরিবর্তিত রেখেছে।
বাজেটের পর প্রথম আর্থিক নীতিতে রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট অপরবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। ২০২০-র ডিসেম্বর থেকে ডিসেম্বর থেকে রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট, দুই হারই অপরিবর্তিত রয়েছে। এই নিয়ে দশম দফায় অপরিবর্তিত রাখা হল রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট। অতিমারীর প্রথম পর্যায় থেকে কয়েক দফায় রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট মোট ১১৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে আরবিআই।
আরও পড়ুন, Voter List: কীভাবে ভোটার লিস্টে নিজের নাম খুঁজবেন? না জানলে ক্লিক করুন
এদিনের ঘোষিত ঋণনীতিতে স্থিতাবস্থাই বজায় রাখল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। অপরির্তিত রাখা হয়েছে রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট। রেপো রেট ৪ শতাংশে ও রিভার্স রেপো রেট ৩.৩৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রইল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের মুদ্রানীতি কমিটি এদিন এই সিদ্ধান্ত নেয়।
শক্তিকান্ত দাস বলেন, "ভারত বাকি বিশ্বের থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটি ভিন্ন পথে চলছে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের অনুমান অনুসারে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারত সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেতে চলেছে।" এই ঋণনীতি অনুসারে, গৃহ ও গাড়ির ঋণে কোনও ছাড় পাচ্ছে না জনসাধারণ।
প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, সেই হারকে বলে রেপো রেট। অন্য দিকে, যে হারে ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ধার নেয়, তাকে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট। গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, করোনার মন্দা কাটিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৯.২ শতাংশ। বেসরকারি ক্ষেত্রে বিনিয়োগও এখনও ধীর গতিতে চলছে। তবে আগামী আর্থিকবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধি ৭.৮ শতাংশে পৌঁছতে পারে বলে মত।