নিজস্ব প্রতিবেদন : ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে জাতীর উদ্দেশে ভাষণ রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছাও জানালেন তিনি। পতাকা উত্তোলনের সময় মোদীর একটি ব্যাপার নিয়ে আলোচনা শুরু হল। পতাকা উত্তোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সেনার মতো স্যালুট করলেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে মোদী তিন বাহিনীর আদলে স্যালুট জানালেন। যা নিয়ে চর্চা চলল। ভারতীয় সেনা, নৌসেনা ও বায়ু সেনার স্যালুট করার ধরণ তিন রকমের। এর পিছনে যুক্তিযুক্ত কারণও রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক-


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  আমরা যদি সতী প্রথা বিলোপ করতে পারি, তাহলে তিন তালাক কেন পারব না? বললেন নমো




সেনার স্যালুট- আমরা প্রায় প্রত্যেকেই কখনও না কখনও, কোথাও না কোথাও কোনও না কোনও জওয়ানকে স্যালুট করতে দেখেছি। কিন্তু আমরা কি সেনার স্যালুট-এর ধরণ সেভাবে লক্ষ্য করেছি? আপনি করে থাকলে দেখবেন, ভারতীয় সেনার জওয়ানরা স্যালুট করার সময় তাঁদের হাতের পাঞ্জা খোলা থাকে। প্রতিট আঙুল পরস্পরের সঙ্গে লেগে থাকে। সিনিয়রের প্রতি এভাবেই সম্মান জ্ঞাপন করেন জওয়ানরা। একইসঙ্গে এমন স্যালুট-এর মাধ্যমে একজন জওয়ান সামনে থাকা ব্যক্তিকে ইঙ্গিত দেন যে তাঁর হাতে কোনও অস্ত্র নেই।



নৌ-সেনার স্যালুট- নৌসেনার জওয়ানদের স্যালুট-এর সময় হাত ও মাটির মাঝখানে ৯০ ডিগ্রি কোণ থাকে। এমন স্যালুট-এর পিছনে একটা বড়সড় কারণ রয়েছে। জাহাজে কাজ করার জন্য নৌসেনাদের হাতে ময়লা লেগে যায়। তাই সিনিয়রের সামনে স্যালুট দেওয়ার সময় নৌসেনার জওয়ানরা হাতের তালু লুকিয়ে রাখেন। যাতে হাতে লেগে থাকা গ্রিজ বা তেলের দাগ দেখা না যায়! তাই নৌসেনার স্যালুট-এর সময় সামনের ব্যক্তি হাতের তালু দেখতে পান না।



বায়ু সেনার স্যালুট- ২০০৬ সালের মার্চ মাসে ভারতীয় বায়ু সেনার স্যালুট-এর ধরণে বদল আনা হয়েছে। এখন বায়ু সেনায় যে স্যালুট-এর চল আছে তাতে হাত ও মাটির মাঝে ৪৫ ডিগ্রি কোণ তৈরি হয়। এটা সেনা ও নৌ-সেনার মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা স্যালুট-এর ধরণ। ২০০৬-এর আগে বায়ু সেনার স্যালুট অনেকটা ভারতীয় সেনার আদলে ছিল।