নিজস্ব প্রতিবেদন: এখন সোশ্যাল মিডিয়া কে ব্যবহার করেন না। টিনএজ কিশোর কিশোরীরা থেকে শুরু করে বয়স্ক দাদু-ঠাকুমা, প্রত্যেকেই নিজের নিজের ব্যস্ততা থেকে খানিকটা খোলা বাতাস পাওয়ার জন্য আর নিজের মনের ভাবনা গোটা পৃথিবীর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাটে ছবি হোক কিংবা মনের কথা, সব বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়া চাই-ই চাই। আজ দুপুরে কে কী খেল, রাতে কার সঙ্গে ঝগড়া হল, কে কোন গ্রুপ জয়েন করল, নিজের কথা যেমন না জানালে আমাদের খাবার হজম হয় না। তেমনই ভার্চুয়াল বন্ধুদের হাঁড়ির খবর না জানলেও দিনটা যেন কাটতেই চায় না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন : মাত্র ১৫ দিনে পেটের মেদ কমিয়ে দিতে পারে রোজের এই মশলা


এখন সোশ্যাল মিডিয়ার নেশায় জড়িয়ে পড়ছেন প্রত্যেক বয়সের মানুষই। ছোট ছোট বাচ্চারাও ব্যবহার করছে তাদের বাবা বা মা কিংবা কোনও অভিভাবকের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। আজকালকার বাবা-মায়েরাও বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখতে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন স্মার্টফোন এবং পাসওয়ার্ড বিহীন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। কিশোর-কিশোরীরাও মনের আনন্দে ব্যবহার করে যাচ্ছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম। আপনার বাড়ির টিন এজ সন্তানও নিশ্চয়ই মেতে রয়েছে ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামে? তাহলে জানুন কম বয়সে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার কী ক্ষতি করছে তাদের।


ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেসের গবেষকরা সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন। যাতে তাঁরা জানাচ্ছেন, কিশোর এবং কিশোরী উভয়ই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলেও ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য তা খুবই ক্ষতিকর। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিশোরদের তুলনায় এই বয়সী কিশোরীরা দিনে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। সেখানে এই বয়সের কিশোররা গেম খেলায় বেশি সময় দেয়।


আরও পড়ুন : শরীরচর্চা করে ওজন তো কমালেন, কিন্তু কোথায় গেল অতিরিক্ত ফ্যাট?


গবেষকদের মতে, কিশোর বয়সে অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার তাদের মনের উপর প্রভাব ফেলে। যাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কিশোরীদের মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। তাই আপনার বাড়ির কিশোরীও যদি অতিরিক্ত পরিমাণে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে, তাহলে তাকে এখনই সাবধান করুন।