Chaitra Amavasya: চৈত্র অমাবস্যার দিনে কী ঘটবে জানেন? মুক্তি মিলবে এই সব `দোষ` থেকে!
শাস্ত্রে অমাবস্যা তিথিটিকে এক বিশেষ তিথি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই তিথিতে জাতকের নানা দোষ কেটে যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হিন্দু ধর্মে অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কথিত যে, অমাবস্যা তিথিতে পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার যায়। জ্যোতিষীরা বলেন, যাদের পিতৃ দোষ আছে এটা হয়, তাদের অগ্রগতিতে সবসময় কোন না কোনও বাধা পড়ে। এ ছাড়া শিশুদের অগ্রগতির ক্ষেত্রেও এটা বাধা সৃষ্টি করে। চৈত্র অমাবস্যা তিথিতে এই দোষ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
কবে চৈত্র অমাবস্যা?
চৈত্র অমাবস্যা তিথি ৩১ মার্চ দুপুর ১২.২২ থেকে শুরু হচ্ছে। অমাবস্যা তিথি শেষ হবে ১ এপ্রিল, সকাল ১১.৫৩ মিনিটে। যাইহোক, উদয় তিথিকে কেন্দ্র করে চৈত্র অমাবস্যা শুক্রবার, ১লা এপ্রিল। এদিন সকাল ৯.৩৭টা পর্যন্ত ব্রহ্মযোগ রয়েছে। এরপর ইন্দ্রযোগ শুরু হবে।
পিতৃ দোষ থেকে মুক্তি কী ভাবে?
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, চৈত্র অমাবস্যার দিন নদীতে স্নান করে দান করা হয়। কাছাকাছি কোনও নদী না থাকলে বাড়িতে গঙ্গাজল মিশিয়ে স্নান করতে হবে। যাঁরা পিতৃদোষে আক্রান্ত, তাঁরা পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ, পিন্ডদান ও দান করেন। ব্রাহ্মণভোজনও করান। খাবারের একটি অংশ কাক ও গরুকে খাওয়ানো হয়। এর পরে, অবশেষে পূর্বপুরুষের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেওয়ার পালা। বিশ্বাস, এটি করলে পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কী করতে হয়?
কালসর্প দোষ থেকে মুক্তির ক্ষেত্রেও চৈত্র অমাবস্যাকে বিশেষ তিথি বলে মনে করা হয়। এই দোষ থেকে মুক্তি পেতে রৌপ্য সাপে সর্পপুজো করা হয়। এরপর সেটিকে কোনো পবিত্র নদীতে নিক্ষেপ করা হয়। এর সঙ্গে গায়ত্রী মন্ত্র এবং মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রও জপ করা হয়।
আরও পড়ুন: Venus Transit: শনিতে শুক্রের গমন; এই ৩ রাশির জন্য অপেক্ষা করছে অসাধারণ সৌভাগ্য