ঘরে বসেই শরীরের অযাচিত তিল মুছে ফেলুন এই ভাবে
ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার ছাড়াও শরীরের অযাচিত তিলও মুছে ফেলতে পারবেন, ঘরে বসেই খুব অল্প খরচে...
নিজস্ব প্রতিবেদন: গাল, ঠোঁটের কোণে বা হাতের তিল অনেক সময় অনেকের সৌন্দর্য বহুগুন বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু এই তিলের সংখ্যাই যদি অনেক বেশ হয়, তখন তা সৌন্দর্য বাড়ানোর চেয়ে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে লালচে বাদামি বা কালো রঙের যে বিন্দুর মতো চিহ্ন থাকে, তাকে তিল বলা হয়। সাধারণত আকৃতির দিক থেকে তিল ডিম্বাকার বা গোলাকার হয়ে থাকে। দেহের কোষ যখন আলাদাভাবে বেড়ে উঠার বদলে একত্রে বেড়ে উঠে তখন সেই স্থানে তিলের জন্ম হয়। কিন্তু তিল তো আর কাজলের টিপ নয়, যে চাইলেই মুছে ফেলতে পারবেন! অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দেহের তিল অপসারণ করা যায়, তবে খুব বেশি অস্ত্রোপচারে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার ছাড়াও শরীরের অযাচিত তিলও মুছে ফেলতে পারবেন। ঘরে বসেই খুব অল্প খরচে শরীরের অনাকাঙ্ক্ষিত তিল মুছে ফেলার খুব সহজ কৌশলটি আজ শিখে নিন।
তিল অপাসারনে ক্যাস্টর অয়েল: বিভিন্ন শারীরিক যত্নে ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ির তেল ব্যবহার করা হয়। আর এই ক্যাস্টর অয়েল দিয়েই আপনি আপনার শরীরের অপ্রয়োজনীয় তিল মুছে ফেলতে পারেন। ক্যাস্টর অয়েলের আনবিক ভর কম হওয়ার কারণে এটি খুব সহজে কোষের একদম ভেতর পর্যন্ত চলে যায় এবং গোড়া থেকেই তিল অপসারণ করে থাকে। ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে তিল মুছে ফেলতে দু’ধরনের প্যাক বা মিশ্রণ আছে। এবার সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কী ভাবে ক্যাস্টর ওয়েল ব্যবহার করবেন?
তিল মুছে ফেলতে ক্যাস্টর অয়েলের দু’ধরনের প্যাক রয়েছে। একটি বেকিং সোডা-যুক্ত আর অন্যটি বেকিং সোডা ছাড়া।
প্রথমে সমপরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল এবং বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এর পর ভাল করে সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে শরীরের তিলযুক্ত স্থানটি ধুয়ে নিয়ে পরিষ্কার কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে জায়গাটি ভাল করে মুছে নিন।
এ বার ক্যাস্টর অয়েল ও বেকিং সোডার মিশ্রণটি তিলের উপর লাগান (এ ক্ষেত্রে কটন বাডের সাহায্য নিতে পারেন)। দিনে ৬-৭ বার এই কাজটির পুনরাবৃত্তি করুন।
যদি বেকিং সোডা ব্যবহার করতে না চান তবে শুধু মাত্র ক্যাস্টর অয়েলই ব্যবহার করুন। কয়েক দিনের মধ্যেই পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। তিলের আকৃতি ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে শুরু করবে এবং একটা সময় সেটি খুব বেশি হলে একটি লালচে বিন্দু ছাড়া আর কিছুই থাকবে না।
ক্যাস্টর অয়েল ও বেকিং সোডার মিশ্রণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি?
ক্যাস্টর অয়েল বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। তবে এটি ব্যবহারে যদি আপনার ত্বক জ্বালা করতে শুরু করে তবে বুঝবেন আপনার ত্বকে এলার্জির সমস্যা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার না করাই ভাল।
এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা উচিত নয়।