আমাদের জীবন নানা সমস্যায় ভরা। যেমন, গ্রহ শুভ ও অশুভ প্রভাব বিস্তার করে, তেমনই অশুভ বাস্তুর প্রভাবেও জীবনে উন্নতি ও বাধার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় দেখা যায় গ্রহ দোষ না থাকলেও জীবনে বাধা বিপত্তি আসছে, তখন বুঝতে হবে বাস গৃহে বা কর্মক্ষেত্রে বাস্তু দোষ আছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাস্তুশাস্ত্রের প্রতি মানুষের নির্ভরতা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। তার কারণ, মানুষ ধীরে ধীরে বাস্তুশাস্ত্রের কার্যকারীতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে অবগত হচ্ছেন। লেখাপড়ায় সন্তানের একাগ্রতা বা মনোসংযোগ বাড়ানোর জন্য নানা চেষ্টা করেও ফল মিলছে না? লেখাপড়ায় সন্তানের অমনযোগ কি আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে? এর সমাধান রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে।


আরও পড়ুন: জেনে নিন খাঁটি মুক্তো চেনার সহজ উপায়


বাস্তুশাস্ত্র মতে, আমাদের বাসস্থানের দশটি দিক আছে। প্রতিটি দিকের অধিপতিরূপে এক একজন দেবতা আছে এবং প্রতিটি দিকের আবার এক একজন অধিপতি গ্রহ আছে। বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকের অধিপতি দেবতা হলেন শিব এবং অধিপতি গ্রহ হল দেবগুরু বৃহস্পতি। বৃহস্পতি আমাদের জ্ঞান ও শিক্ষা প্রদান করেন। তাই বাড়িতে উত্তর-পূর্ব দিকেই ঠাকুর ঘর থাকা উচিত। আর এই দিকে ক্রিস্টাল বল ঝুলিয়ে রাখলে বিদ্যার্থীদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে এবং জ্ঞান ও শিক্ষার ক্ষেত্রটি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।


আরও পড়ুন: যাকে ভালবাসেন, বিয়ে কি তার সঙ্গেই হবে? জেনে নিন


বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণ সন্তানের পড়াশোনার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। বাস্তু মতে ঈশান কোণ জ্ঞান ও শিক্ষার আধার। ঈশান কোণ অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব কোণ। এই কোণে কোনও বাস্তুদোষ থাকলে সেটা প্রশমিত করার জন্য ক্রিস্টাল ঝুলিয়ে রাখা প্রয়োজন। এই উত্তর-পূর্ব কোণে যদি নোংরা আবর্জনা থাকে তাহলে তা বাস্তু দোষ তৈরি করে। আর এই বাস্তু দোষ আপনার সন্তানের পড়াশোনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই এর উপযুক্ত প্রতিকার করা অত্যন্ত জরুরি। তাই পড়াশোনায় একাগ্রতা বাড়ানোর জন্য বিদ্যার্থীর অধ্যয়ন কক্ষের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি ক্রিস্টাল বল ঝুলিয়ে রাখলে অবশ্যই উপকার পাবেন। ক্রিস্টাল বল থেকে বিচ্ছুরিত আলোকরশ্মি বিদ্যার্থীকে ধীরে ধীরে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলবে। ক্রিস্টাল বলটি ঝুলিয়ে দেওয়ার আগে বিশেষ পদ্ধতিতে জাগ্রত করে নিতে হবে এবং কিছু দিন পর পর এই বলটিকে শোধন করাতে হবে।