যে কোনও ধরনের নির্মাণ কাজ শুরু করার প্রাথমিক ধাপ হল জমি নির্বাচন বা ভূখণ্ড বাছাই। তাই এই জমি বা ভূখণ্ড বাছাইয়ের কাজটি খুব গুরুত্বের সঙ্গে করতে হবে। কারণ, ‘মূল’ যদি ঠিক না থাকে তবে ‘কাণ্ড’ বা ‘শাখা-প্রশাখা’ দোষযুক্ত হয়ে পড়ে। জমি বা ভূখণ্ড বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাস্তুশাস্ত্রের নির্দেশ মেনে চললে বাস্তুদোষ কাটানো সম্ভব। বাড়ি কখনোই ব্রহ্ম স্থলে করা উচিত নয়। বাস্তু সব সময় ভাল করে বিচার করে তারপর বাড়ি তৈরি করতে হয়, তাহলে জীবন শান্তিময় ও সুখকর হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাস্তুকে দু’ ভাগে ভাগ করা হয়। একটি সূর্য-ভেদী, অপরটি চন্দ্র-ভেদী। আয়তাকার, বর্গাকার, বৃত্তাকার, চক্রাকার, বিষমবাহু, ত্রিকোণাকার, চতুরস্রাকার, শকটাকার, দণ্ডাকর, পণবাকার, মুরজাকার, বৃহম্মুখাকার, বাজনাকার, কুর্মাকার, সুর্পাকার, ধনুকাকৃতি— সব মিলিয়ে বাস্তু ১৬ প্রকারের। এর মধ্যে আয়তাকার, বর্গাকার, বৃত্তাকার, চতুরস্রাকার বাদে বাকি ১২ প্রকারের বাস্তুতে বসবাস করলে অর্থনাশ, বিপর্যয়, চুরির মতো নানা প্রকার দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়। আসুন এ বার বাস্তুর আকৃতি অনুযায়ী তার ফলাফল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...


বাস্তুর আকৃতি অনুযায়ী ফলাফল:


১) আয়তাকার বাসভূমি সব দিক থেকে সিদ্ধিদায়ক।


২) দণ্ডাকর বাস ভূমিতে গৃহ পালিত পশুপাখি নাশ হয়। 


৩) চক্রাকার ভূমি দারিদ্র নিয়ে আসে। 


৪) শকটা-কৃতি ভূমিতে বাস্তু-গৃহ হলে ধননাশ হয়।


৫) চতুর্ভুজ ক্ষেত্রের চারটি বাহু ও চারটি কোণ অসমান হলে ধনাগম হয়ে থাকে।


৬) অর্ধচন্দ্রাকার বাস ভূমিতে চৌর্যভয় ও শত্রুভয়ে ভীত থাকতে হয়।


৭) ডিম্বাকৃতি বাসভূমিতে বসবাস করলে সারা জীবন অশান্তি ভোগ করতে হয়।


৮) বিষমবাহু বাস্তু নির্ধন এবং দুঃখের কারণ।