নিজস্ব প্রতিবেদন: সম্পর্কে প্রতারণার নতুন ব্যাখ্যা দিলেন ভারতীয় মনোবিদ। তাঁর ধারণা অনুসারে শারীরিক নয়, বরং মানসিক প্রতারণা মানুষের জীবনে দীর্ঘমেয়াদে আরও গভীরতর প্রভাব ফেলে। মিনু ভোঁসলে নামে ওই মনোবিদের গবেষণা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে বিষয়টি নিয়ে।
গবেষণালব্ধ তথ্য সঠিক হলে আমূল বদলে যাবে সম্পর্কে প্রতারণার প্রতি মনোবিদদের দৃষ্টিভঙ্গী। মিনু ভৌমিকের মতে, সম্পর্কে মূলত তিন রকম।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

- শারীরিক প্রতারণা
- মানসিক প্রতারণা
- প্রতিশোধমূলক প্রতারণা


শারীরিক প্রতারণা: সম্পর্কে মানসিক বন্ধন সৃষ্টি না হওয়ার ফলেই শারীরিক প্রতারণার শিকার হতে হয়। যার ফলে কেবল যৌনতা উপভোগ এবং সাময়িক ভালোলাগার মধ্যেই সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। হৃদকমলে সঙ্গীর জন্য প্রেমের উদ্রেগ হওয়া সত্বেও অপর প্রান্তে মানসিক আবেদনের জন্ম না হওয়ার ফলেই শারীরিক প্রতারণার ঘটনা ঘটে।


মানসিক প্রতারণা: শরীর মিললেও মনের মিল নাই! এখানেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। মানসিক ভাবনা চিন্তার বিস্তর ফারাক আর একে অপরকে না বোঝার কারণেই ঘটে যায় চরম পরিণতি। অনেকের মধ্যেই আজন্ম এই ধারণা রয়েছে, প্রতারণা মানে কেবলই শারীরিক প্রতারণা। মনোবিদদের মতে সম্পর্কে শারীরিক প্রতারণার থেকেও ভায়নক মানসিক প্রতারণা। 


প্রতিশোধমূলক প্রতারণা: ক্ষমা মানুষের একটা বড় গুণ। তবে এই গুণ রয়েছে এমন মানুষ বিরল। মুখে বললেও কাউকে ক্ষমা করতে উদারতায় টান পড়ে। সঙ্গীর আচরণ আপনাকে আহত করলেও মুখ ফুটে তা না বলায় জমতে থাকে অভিমানের পাহাড়। আর তার ফলে নিজের অজান্তেই তৈরি হয় প্রতিশোধ স্পৃহা। যার পরণতি ভয়ানক। 


সম্পর্কের সজীবতা বজায় রাখতে গেলে অনবরত ভাবনা বিনিময় খুব দরকারি বলে মত মনোবিদদের। তাঁদের মতে, যোগাযোগের অভাব থেকেই সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়। আর তাতে ঢুকে পড়ে তৃতীয় ব্যক্তি। তাই অভিমান জমিয়ে না রেখে বলে ফেলুন প্রিয়জনকে।