Sugar Vs Jaggery: কী এমন গুণ রয়েছে, কেন অধিকাংশ পুষ্টিবিদরা গুড়কেই বেশি গুরুত্ব দেন?
এখন অধিকাংশ লোকের বাড়িতে গুড় আর পাওয়া য়ায় না। গুড় ও চিনি-দুটোর স্বাদ মিষ্টি হলেও একে অপরের থেকে আলাদা। চিনি অনেক বেশি মিষ্টি। কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য কোনটা বেশি উপকারি, এই ব্য়াপারটা নিয়ে বেশিভাগ মানুষের মধ্য়ে প্রশ্ন জাগে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনেকেই পেস্ট্রি এবং ডোনাট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই মিষ্টি খাবারগুলে কেবল আপনার স্বাস্থ্য নয় আপনার ত্বকের উপরেও প্রভাব ফেলে? বর্তমানে পুষ্টিবিদরা চিনির বদলে গুড়কে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। কিন্তু কেন? তাহলে কি গুড় চিনির তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর? আসুন জেনে নেওয়া যাক, আপনার ত্বকের জন্য কোনটা বেশি উপকারি।
আরও পড়ুন: Week 8 | Daily Cartoon | সোমান্তরাল | আকাশ ছোঁয়া চাই!
চিকিৎসকদের বক্তব্য়, চিনি ত্বকের জন্য ভালো নয়। চিনি মূলত সাদা ক্রিস্টালের মত ছোট দানার হয়, অন্য দিকে গুড় বাদামী বর্ণের হয়। দুটোই তৈরি হয় আখের রস থেকে, কিন্তু দুটোর প্রক্রিয়া পদ্ধতি ভিন্ন। অতিরিক্ত চিনি আমাদের রক্তপ্রবাহে গ্লাইকেশনের কারণ হতে পারে। যখন রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যায় তখন রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। গ্লাইকেশন আমাদের ত্বকের ঠিক সেই অংশকে প্রভাবিত করে।
কোলাজেন এবং ইলাস্টিন চিনির সঙ্গে যুক্ত থাকে আর সেই জন্য় ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণগুলি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, যার ফলে বলিরেখা দেখা দেয়, ত্বকের চামড়া ঝুলে যায় এবং ত্বককে নিস্তেজ করে তোলে। ডায়াবেটিস রোগীদের যেকোনো ধরনের চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: সামনেই ফলহারিণী কালীপুজো! জেনে নিন দিন-তিথি, বিশেষ মাহাত্ম্য...
গুড় আপনার ত্বকের দাগ দূর করবে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখবে। গুড়ের মধ্যে রয়েছে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, যা আপনার মৃত ত্বকের কোষগুলি অপসারণ করে এবং ব্রণ নিরাময়ে করতে সাহায্য করে। মিহি চিনির চেয়ে গুড় খাওয়া একটি স্বাস্থ্য জন্য খুব উপকারি, এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ রয়েছে। গুড় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ভাল, আয়রন সমৃদ্ধ এবং রক্ত পরিশোধন করতে এবং রক্তাল্পতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব ভালো। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শ্বাসজনিত রোগের চিকিৎসায় গুড় অত্যন্ত ভালো, কারণ এর অ্যান্টি-অ্যালার্জিক বৈশিষ্ট্য শ্বাসযন্ত্রের টক্সিন এবং শ্লেষ্মা পরিষ্কার করে। হাঁপানি, কাশি, সর্দি নিরাময় করে। এটি হজম ক্ষমতা বাড়ায়। তাই অনেকে খাবারের পর এক টুকরো গুড় খেয়ে থাকে।