নিজস্ব প্রতিবেদন: ধরুন, মোবাইলে অ্যাপে খাবার অর্ডার দিলেন। ১০ মিনিট পরেই দরজা খুলে দেখলেন একটা আস্ত ড্রোন। ড্রোনের গায়ে বাক্সের ভিতর আপনার অর্ডার করা গরম গরম খাবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গ্রাহকদের কাছে আরও দ্রুত খাবার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এবার এমনই অভিনব ভাবনা ফুড ডেলিভারি অ্যাপ Zomato-র। বুধবার Zomato-র তরফ থেকে জানানো হয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে যথাযথ অনুমতিসহ ড্রোনের পরীক্ষামূলক উড়ান শুরু হয়েছে। ডেলিভারির গড় সময় ৩০ মিনিট থেকে ১৫ মিনিটে কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই আকাশপথে খাবার ডেলিভারির এই পরিকল্পনা।


আরও পড়ুন-  এই চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ নয়, রয়েছে তাদের মমি!



বৃহস্পতিবার সংস্থার সিইও দ্বীপেন্দর গয়াল নিজের টুইটারে পরীক্ষামূলক উড়ানের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, সাফল্যের সঙ্গে ড্রোন-এর পরীক্ষা করা হয়েছে। ৫ কিলো ওজন নিয়ে মাত্র ১০ মিনিটে ৫ কিলোমিটার উড়ে যেতে সক্ষম এই ড্রোন। সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮০ কিমি প্রতি ঘন্টা। আকাশপথে খাবার ডেলিভারি-র কথা বেশ কিছু দিন ধরেই ভাবছিলেন জোম্যাটোর কর্তারা। সেই লক্ষ্যে ২০১৮-তে 'টেক ইগল' নামে লখনউ-এর এক ড্রোন নির্মাতা সংস্থাকেও কেনে জোম্যাটো। 
সংস্থার তরফে জানানো হয়, নতুন এই প্রক্রিয়ায় আগের মতোই অর্ডার দেওয়া হবে ফোনে। তবে, রেঁস্তোরা থেকে অর্ডার নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে উড়ে যাবে ড্রোন। ড্রোন-এর গায়েই বিশেষ বাক্সে থাকবে খাবার রাখার ব্যবস্থা। ড্রোন পৌঁছনর পরে গ্রাহক নিজেই বাক্স থেকে বার করে নেবেন তাঁর খাবার।


আরও পড়ুন-  বন্যেরা বনে সুন্দর! তাই 3D প্রযুক্তির সাহায্যে দর্শক টানছে এই সার্কাস!


তবে শহুরে অঞ্চলে এই প্রক্রিয়া শুরুর ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক জটিলতা। বিমানবন্দরের আশেপাশের অঞ্চলে ড্রোন ওড়ানোর উপর আছে আইনি নিষেধাজ্ঞা। তা ছাড়াও মেট্রো শহরে নিরাপত্তার কারণে প্রয়োজন স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন। তবে সেই সকল দিকে মাথায় রেখেই বানানো হচ্ছে এই ড্রোন। বর্তমানে বাইকে একটি ডেলিভারি-তে জোম্যাটো-র ৩০ মিনিট সময় লাগে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারলে ১৫ মিনিটেই ডেলিভারি হয়ে যাবে। ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া যানজটের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ সংস্থার।