নিজস্ব প্রতিবেদন : সেবাই ধর্ম। মুসকান আহিরওয়ার এই আপ্তবাক্যের সত্যতা প্রমাণ করল।পুলওয়ামায় ৪৪জন জওয়ানের মৃত্যুতে যখন শোকের আবহ দেশজুড়ে, মুসকানও তখন ছটফট করছে। কি করে পাশে দাঁড়ানো যায় মৃত জওয়ানদের পরিবারের! সেখান থেকেই ১৩ বছরের মেয়ের ভাবনা শুরু। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন - পুলওয়ামা হামলার জের, কাশ্মীরে ৫ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার সরকারি নিরাপত্তা তুলে নিল প্রশাসন


যেমন ভাবা তেমন কাজ! ১৫ ফেব্রুয়ারি নিজের জন্মদিনের জন্য রোজ অল্প অল্প করে টাকা জমিয়েছিল মুসকান। প্ল্যান ছিল, খুব মজা করে পালন করা হবে ১৩ বছরের জন্মদিনটা। কিন্তু পুলওয়ামার ঘটনার পর আর সেই ইচ্ছা হয়নি মুসকানের। নিজের জন্মদিনের জন্য তিল তিল করে জমানো পুরো টাকাটাই সৈনিক কল্যাণ তহবিলে দিয়ে দিল ছোট্ট মুসকান। মৃত জওয়ানদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এমনই দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ভোপালের দূর্গানগরের ছোট্ট মেয়ে। 


এই প্রচেষ্টায় মুসকানের পাশে দাঁড়িয়েছে তার বন্ধুরাও।মুসকানের নিজের জমানো ৬৮০ টাকার পাশাপাশি তার হাতে সবাই মিলে তুলে দিয়েছে ১১০০ টাকা । শুক্রবার জেলা সৈনিক কল্যাণ দফতরে গিয়ে সেই টাকা মুসকান তুলে দেয় অফিস সুপারিনটেনডেন্টের হাতে। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে হয়তো খুব সামান্য অর্থ। তবে দেশ ও সেনাবাহিনীর জন্য তাঁর নিবেদিত প্রাণ যেন নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেল।


আরও পড়ুন -  কাশ্মীরিদের ওপরে হামলা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব, জানাল সিআরপিএফ
   


তবে এই প্রথম না, এর আগেও বারবার সবার নজর কেড়েছে ছোট্ট মুসকান। ছোট বয়স থেকেই নানা সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত ক্লাস সিক্সের ছোট্ট লাজুক  মেয়েটা। নিজের বাড়িতেই 'বাল পুস্তকলায়' নামের একটি দাতব্য গ্রন্থাগার চালায়। বিনামূল্যে সেই গ্রন্থাগার ব্যবহার করে এলাকার দুস্থ শিশুরা। বছর দুই আগে তার এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছিল মুম্বইয়ের আমেরিকান দূতাবাসও। লাইব্রেরীর জন্য তার হাতে বই তুলে দিয়েছিলেন কনসুলেট জেনারেল এডগার্ড কাগান।