ঘরশত্রু বিভীষণ জ্যোতিরাদিত্য? মধ্যপ্রদেশের বিদ্রোহ ১৭ জন কংগ্রেস MLA-র
মুখ্যমন্ত্রিত্ব না পেয়ে কি `ঘর শত্রু বিভীষণ` হলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া?
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্ণাটকের পুনরাবৃত্তি কি মধ্যপ্রদেশে? মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ সরকারের ৬ জন মন্ত্রী-সহ ১৭ বিধায়ক ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন বেঙ্গালুরুর হোটেলে। সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ দিল্লি থেকে তিনটি চার্টার বিমানে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে।
মুখ্যমন্ত্রিত্ব না পেয়ে কি 'ঘর শত্রু বিভীষণ' হলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া? বেঙ্গালুরুর বিবাগী বিধায়করা সকলেই সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ। ১৫ মাসের কমলনাথ সরকারের আয়ু নিয়ে উঠে গিয়েছে বড়সড় প্রশ্ন।
মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ এই নেতা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কমলনাথকে বেছে নেয় হাইকম্যান্ড। তারপর বেশ কয়েক মাস ধরে বেসুরো শোনাচ্ছিল সিন্ধিয়াকে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সমর্থন করেছিলেন। সিন্ধিয়ার সঙ্গে কমলনাথের 'মধুর' সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। অনেকেই মনে করছেন, সিন্ধিয়ার ক্ষোভকেই সম্ভবত কাজে লাগাল বিজেপি।
প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই সরু সুতোর উপর ঝুলছে কমল নাথ সরকারের ভাগ্য। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক ১১৪ জন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রয়োজন ১১৬ জন বিধায়কের সমর্থন। সপা-বসপার বিধায়ক মিলিয়ে ১২১ জন বিধায়কের সমর্থন শাসক কংগ্রেসের পক্ষে। বিজেপির আসন সংখ্যা ১০৭।
আরও পড়ুন- করোনাভাইরাসের আশঙ্কায় ঢাকা সফর বাতিল করলেন নরেন্দ্র মোদী