নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্য প্রদেশে সরকার গঠন হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষি ঋণ মুকুব করেছে কংগ্রেস। তবুও এড়ানো গেল না কৃষক আত্মহত্যা। অভিযোগ উঠেছে, ঋণ মুকুবের সুবিধা না পেয়েই আত্মহত্যা করেন ২ কৃষক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শহজপুরের কৃষক প্রেম নারায়ণ রঘুবংশী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, আজ রঘুবংশীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। অন্য দিকে, খানদোয়ার পানধানা গ্রামের আরও এক কৃষক জুয়ান সিং গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই দুই কৃষকই নয়া সরকারের ঋণ মুকুবের সুবিধা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।


আরও পড়ুন- কর্ণাটকে কংগ্রেসের মধ্যে কন্দোল, মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ায় প্রকাশ্যে বিক্ষোভ কংগ্রেস নেতা রামলিঙ্গের


জুয়ানের পরিবার অভিযোগ করে, মধ্য প্রদেশ সরকার যে ঋণ মুকুব করেছে, সেই তালিকায় নাম ছিল না জুয়ানের। তা জানতে পারে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ৪৫ বছর বয়সী ওই কৃষক। তাঁর ভাই গুলাব সিংয়ের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৩.২২ লক্ষ টাকা এবং কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন জুয়ান। উল্লেখ্য, গত মার্চ পর্যন্ত যে সব কৃষক ২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদেরই মুকুব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষের বেশি কৃষক ঋণ মুকুবের আওতায় রয়েছেন। শহজপুরের প্রেম নারায়ণ রঘুবংশী বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ৩ লক্ষ টাকা এবং কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে ২ লক্ষ ঋণ নেন। অভিযোগ, ঋণ মেটানোর জন্য ব্যাঙ্কের তরফে ক্রমশ চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল রঘুবংশীকে। বেশ কিছু মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।


আরও পড়ুন- ১২ থেকে ১৮ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে অভিন্ন জিএসটি হার: অরুণ জেটলি


উল্লেখ্য, মধ্য প্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে ক্ষমতায় এসে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে কৃষকদের ঋণ মুকুব করে কংগ্রেস সরকার। পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দাবি করেন, রাজস্থানেও ঋণ মুকুব করা হয়েছে। নির্বাচনেই কৃষি ঋণ এবং কৃষকদের সমস্যা মোদ্দা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাহুল গান্ধী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এসে ঋণ মুকুব করা হবে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চাপ সৃষ্টি করা হবে ঋণ মুকুব করতে।