বিয়ে ভাঙছে সাড়া ফেলে দেওয়া এই IAS কাপলের, বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে টিনা-আতহার
দলিত পরিবারের সন্তান টিনা এক সময় জানিয়েছিলেন, প্রথম দেখাতেই আতহারের প্রেমে পড়ে যাই
নিজস্ব প্রতিবেদন: দুজনেই আইএএস অফিসার। একজন সিভিস সার্ভিস পরীক্ষায় দেশে শীর্ষ স্থান দখল করেছিলেন। অন্যজন দ্বিতীয়। প্রথম দর্শনেই প্রেম। বিয়েও করেছিলেন। সেই টিনা দাবি ও আতহার আমির খানের বিয়ে এবার ভাঙতে চলেছে। দুজনে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবেদন করেছেন আদালতে।
আরও পড়ুন-শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ, সাহসিকতায় নেতাজি, প্রশাসনে মমতা: কাকলি
২০১৫ সালে ইউপিএসি পরীক্ষায় টপার টিনার সঙ্গে কাশ্মীরের ছেলে আতহারের পরিচয় দিল্লির নর্থ ব্লকে ট্রেনিংয়ে এসে। সেখানেই প্রেম। ট্রেনিং শেষে তাঁরা বিয়ে করেন। এনিয়ে আলোচনা শুরু হয় মিডিয়ায়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন হিসেবে এই বিয়েকে দেখানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু তা নতুন মাত্রা পায় যখন হিন্দু মহাসভা এই বিয়েকে লভ জিহাদ হলে প্রচার শুরু করে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কাপলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শুরু হয়ে। একটা সময় এমনও ছিল যখন টিনা ও আতহার গুগলে তাঁদের নিয়ে প্রকাশিত খবর খোঁজা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
এভাবেই চলছিল।দুজনেই বর্তমানে রাজস্থানে পোস্টিং রয়েছেন। হ্যাপি কাপল হিসেবেই তাদের জানত সবাই। কিন্তু তাল কাটল গত বছর। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পদবির জায়গা থেকে 'খান' সরিয়ে দেন টিনা দাবি। পাশাপাশি আতহারও ইনস্টাগ্রামে টিনাকে আনফলো করে দেন।
দলিত পরিবারের সন্তান টিনা এক সময় জানিয়েছিলেন, প্রথম দেখাতেই আতহারের প্রেমে পড়ে যাই। আমাদের দেখা হয়েছিল সকালে আর সন্ধেয় আতহার আমার ঘরে এসে হাজির। ওর ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিমত্তায় ভেসে গিয়েছিলাম।
আরও পড়ুন-'দলে থেকে দলীয় নেতাদের অসম্মান নয়', ঢিল মারলে এবার কি তবে পাটকেল খেতে হবে শুভেন্দুকে?
বিয়ের পরই সোশ্যাল মিডিয়া-সহ অন্যান্য মহলে এনিয়ে তোলপাড় সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। টিনা দাবি একসময় বলেছিলেন, লোকে কী বলছে তা নিয়ে কখনওই ভাবিনি। আমরা সুখী ছিলাম। আমাদের নিয়ে যেসব খবর সংবাদমাধ্যমে বের হত তা পড়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
সেই সম্পর্ক এখন অতীত। গত এক বছর ধরেই টিনা ও আতহারের মধ্যে সম্পর্কে ফাটলের একটা জল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছিল। এবার তা একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল।