নিজস্ব প্রতিবেদন: জনগণের রায়কে অপব্যবহার করছে বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়া নয়, এবার সরাসরি লড়াইয়ে নামার বার্তা দিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধী। বৃহস্পতিবার দলের সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে কর্মীদের এভাবেই চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন সনিয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


দলের বৈঠকে সনিয়া অকপটে মেনে নেন বুথ স্তরে কোনও সংগঠন নেই। এর জন্য আরএসএস-র ধাঁচে একটি সংগঠন তৈরির প্রস্তাব দিলেন সনিয়া। এ দিন তিনি জানান, কংগ্রেস বেশ কিছু প্রেরক নিয়োগ করবে। ওই প্রেরকরাই বুথস্তরে সংগঠনের কাজ করবে। দলের কর্মীদের সরাসরি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকার চেয়ে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করা বেশি প্রয়োজন বলে জানান সনিয়া গান্ধী।


লোকসভা নির্বাচনের ৪ মাস পরও স্থায়ী সভাপতি নিয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী ওই পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তেমন সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ সভাপতি হন এই ইচ্ছাপ্রকাশ ছাড়া তেমন দায়িত্ব নিতেও দেখা যায়নি রাহুলকে। এর ফলে দলের মধ্যেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়। রাহুল গান্ধীর এমন আচরণ দেখে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সচিন পাইলটের মতো তরুণ নেতারাও দিকভ্রান্ত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। প্রায় দু’দশক ধরে সভাপতি পদে থাকা সেই সনিয়াকেই রাশ ধরতে হয় দলের। আজও রাহুল গান্ধীকে এই বৈঠকে দেখা যায়নি বলে জানা যাচ্ছে।


আরও পড়ুন- পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে শুধু সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায় সেনা: বিপিন রাওয়াত


ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী এ দিন বলেন, গান্ধীজি, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি। ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। কর্মীদের উদ্দেশে সনিয়া বলেন, সঠিক তথ্য তুলে ধরে বিজেপির এজেন্ডার বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হবে। গান্ধীজির দেড়শোতম জন্মবার্ষিকী নিয়ে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মোদী সরকার। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর বক্তৃতায় প্রায়শই গান্ধীজির আদর্শের কথা তুলে ধরেন। সনিয়ার এদিন পাল্টা বার্তা দেন, গান্ধীজির মতাদর্শকে তুলে ধরতে কংগ্রেসকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এর জন্য বড় বড় শহরে পদযাত্রা, সেমিনার করার আহ্বান জানান তিনি।


সনিয়া আরও বলেন, আজ সেভাবে গণতন্ত্র বিপর্যস্ত হচ্ছে, এমনটা কোনও দিন হয়নি। প্রকৃত ইস্যু নিয়ে লড়তে হবে বলে জানান সনিয়া। অর্থনীতি মন্দা, বেকারত্ব বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে বিমুখ, এ বিষয়গুলো লড়াইয়ের হাতিয়ার হবে এ দিন স্পষ্ট করেন সনিয়া। প্রয়োজনে গ্রামে, শহরে, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে হবে বলে জানান তিনি।