Indore: ক্যান্টিনে বসেই পুলিসের হয়ে র্যাগিংকান্ড ফাঁস! `ফ্রেশার` এর প্রথম কাজেই বাজিমাত
শালিনী চৌহান, বছর ২৪ এই মেয়ের চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর এটাই ছিল প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে তদন্তকারীদের নাজেহাল করে দিচ্ছিল ব়্যাগিংয়ের একটি মামলা। যা তিনমাসের মধ্যেই সকলের সামনে আনলেন শালিনী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলেজ ক্যান্টিনে দিনের পর দিন দেখা হয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সহপাঠীদের খোঁজ খবর সবই থাকত তার কাছে। আর পাঁচটা বন্ধুর মতোই। প্রাণবন্ত, মজা করতে ভালোবাসে এমনই কলেজের মেয়ে। ক্যান্টিন বয় থেকে বন্ধুদের চায়ের আড্ডা মাস তিনেকে বোঝাই যায়নি সে মেডিকেল কলেজের স্টুডেন্টই নয়। কারও ধারণাই ছিল না এই ফ্রেশার ফার্স্ট ইয়ারের মেয়েটিই পুলিস এবং এটাই তার প্রথম আন্ডারকভার মিশন।
আরও পড়ুন, Cigarette: ঘুম উড়তে চলেছে ধূমপায়ীদের! সিগারেট নিয়ে বড়সড় ঘোষণার পথে কেন্দ্র
শালিনী চৌহান, বছর ২৪ এই মেয়ের চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর এটাই ছিল প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে তদন্তকারীদের নাজেহাল করে দিচ্ছিল ব়্যাগিংয়ের একটি মামলা। যা তিনমাসের মধ্যেই সকলের সামনে আনলেন শালিনী। প্রায় অন্ধ, একপেসে এই ঘটনায় মামলা করার জন্য যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করলেন তিনি। ১১ জন সিনিয়রকে চিহ্নিত করেছেন যাদের বিরুদ্ধে এ বছরের জুলাই মাসে এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপকে পাশবিক র্যাগিং করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
সম্প্রতি ইন্দোরের সানযোগিতাগঞ্জ থানায় কর্মরত শালিনী এই বাহিনীতে যোগ দেন এবং মিশন এমজিএম তার প্রথম অপারেশন। তার বাবা একজন পুলিস ছিলেন যিনি ২০১০ সালে মারা যান এবং এক বছর পর তার মাও মারা যান। বাবার কাজে অনুপ্রাণিত হয়েই ফোর্সে যোগ দেন শালিনী। জিনস ও টপ পরে ব্যাগে বই নিয়ে প্রতিদিনই কলেজে যেতেন কর্মাস গ্র্যাজুয়েট। শালিনীর বক্তব্য, চিহ্নিত করে দেওয়া পড়ুয়াদের উপর নজর রাখতাম। প্রতিদিন ৫-৬ ঘণ্টা ক্যান্টিনে কাটাতাম যাতে মনে হয় আমিও কাজ করি। সকলের সঙ্গে কথা বলতাম। ধীরে ধীরে সেই সিনিয়রদের ধরতে পারি যারা এই জঘন্য কাজে যুক্ত ছিল। মুখে হাসি নিয়ে মেয়ের কথা, কেউ কখনও বুঝতেও পারেনি মেডিসিনের সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই।