নিজস্ব প্রতিবেদন : হায়দরাবাদে পশু চিকিত্সক ধর্ষণকাণ্ডে এবার নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সাইবরাবাদের পুলিস কমিশনার বিসি সজ্জনার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রিপোর্ট নিতে টালবাহানা করার জন্য একজন এসআইসহ তিন পুলিসকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সময়মতো অভিযোগ নিতে চাননি ওই পুলিসকর্মীরা। এমনকী, অভিযোগ দায়ের করার সময় ঘটনা কোন থানার অন্তর্গত, তা নিয়েও টালবাহানা করতে থাকেন তাঁরা।  পশু চিকিতসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা সামনে আসার পর নির্যাতিতার বাড়ির লোক পুলিসের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাইবরাবাদের পুলিস কমিশনার বিসি সজ্জনার বলেছেন, সেদিন রাতে শামশাবাদ থানা নিখোঁজ ডায়েরি নিতে দেরি করেছিল। ডিউটি চলাকালীন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছিলেন ওই পুলিসকর্মীরা। বিভাগীয় তদন্তের পর সাব ইন্সপেক্টর এম রবি কুমার, হেড কনস্টেবল পি বেণুগোপাল রেড্ডি ও এ সত্যনারায়ণ গৌড়কে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে। পশু চিকিতসকের এমন নির্মম পরিণতিতে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মিছিল, স্লোগান চারপাশে।


আরও পড়ুন-  হায়দরাবাদে পশু চিকিত্সক ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিস


হায়দরাবাদ থেকে ৫০ কিমি দূরে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যে। স্থানীয় থানার বাইরে ধর্নায় বসেছেন প্রচুর মানুষ। বহু মহিলা ও ছাত্র-ছাত্রী প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। কেউ বলছেন, ধর্ষকদের এনকাউন্ডার করে মারা হোক। কারও আবার দাবি, প্রকাশ্য রাস্তায় শাস্তি দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করা হোক। হায়দরাবাদ ও সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন থানায় অতিরিক্ত পুলিসকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করেছে পুলিস। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ২৬ বছর। বাকি তিনজনের বয়সই কুড়ির আশেপাশে।