নিজস্ব প্রতিবেদন: রাহুল গান্ধীর অভিযোগ ছিল- রাফাল চুক্তি নিয়ে সত্যি কথা বলছে না ফরাসি যুদ্ধবিমান সংস্থা দ্যাসোঁ। সেই অভিযোগ খারিজ করেন দ্যাসোঁ সংস্থার প্রধান এরিক ট্র্যাপিয়ার। তিনি বলেন, “আমার মিথ্যে বলার সুনাম নেই।” অভিযোগ ছিল, অনিল আম্বানি সংস্থাকে অবৈধভাবে বরাত পাইয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন এরিক। তিনি জানান, তাদের পছন্দেই রিলায়্যান্সকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রাহুলের আরও অভিযোগ, দেশীয় যুদ্ধবিমান সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (হ্যাল) অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও একটি অনভিজ্ঞ সংস্থাকে কেন বরাত দেওয়া হল? জবাবে এরিক বলেন, ইউপিএ সরকারের আমলে হ্যাল সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত হলেও, পরে ওই সংস্থাই আগ্রহ দেখায়নি। এর পর রাহুলের ‘মোক্ষম অস্ত্র’ ছিল, রাফালের দাম প্রকাশ্যে নিয়ে আসুক কেন্দ্র। তাঁর অভিযোগ ছিল, অনেক বেশ টাকায় কেনা হচ্ছে রাফাল। এখানেও রাহুলকে প্রতিহত করলেন দ্যাসোঁ সংস্থার সিইও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ‘আমি মিথ্যে বলি না’, রাফাল নিয়ে রাহুলের অভিযোগ সরাসরি খারিজ করলেন দ্যাসোঁর সিইও


কী বললেন এরিক ট্যাপিয়ার?


এরিকের কথায়, “ইউপিএ সরকারের সঙ্গে ১২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ১৮টি রেডি বিমান দেবে দ্যাঁসো। বাকি বিমান তৈরি হবে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের সহযোগিতায়।” তবে এরিকের দাবি, মোদী সরকারের ৩৬টি যুদ্ধবিমানের দামের অনুপাত প্রায় সমান ইউপিএ-র ১৮টি রাফালের দাম। তিনি বলেন, দুই সরকারের সঙ্গে চুক্তি হওয়ায় ৯ শতাংশ দাম কমাতে বাধ্য হয়েছে দ্যাসোঁ। অর্থাত্ এখানেও রাহুলের অভিযোগকে মিথ্যে বলে প্রমাণিত করেন এরিক।


আরও পড়ুন- নোট বাতিলের মতো পরিস্থিতি তৈরি করছে মোদী সরকার, আরবিআই বিতর্কে কটাক্ষ সিঙ্ঘভির


এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে আক্ষেপের সুরে এরিক বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে দ্যাসোঁর সম্পর্ক বহুদিনের। কংগ্রেস সভাপতির এমন মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। ১৯৫৩ সালে জওহরলাল নেহরু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দ্যাসোঁর সঙ্গে প্রথম সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর অন্যান্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে চুক্তি হয়েছে। আমরা ভারতের সঙ্গে কাজ করি, কোনও দলের সঙ্গে নয়। এরিক বলেন, ভারতীয় বায়ু সেনা এবং ভারত সরকারকে বরাবরই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তুলে দিয়েছি আমরা।