নোট বাতিলের মতো পরিস্থিতি তৈরি করছে মোদী সরকার, আরবিআই বিতর্কে কটাক্ষ সিঙ্ঘভির

 গত মাসে এক অনুষ্ঠানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য মন্তব্য করেন, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ক্রমাগত হস্তক্ষেপ করলে, দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। এই প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনা সরকারের নীতিগ্রহণের উদাহরণ টেনে আনেন।

Updated By: Nov 13, 2018, 02:41 PM IST
নোট বাতিলের মতো পরিস্থিতি তৈরি করছে মোদী সরকার, আরবিআই বিতর্কে কটাক্ষ সিঙ্ঘভির
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘ডিমনেটাইজেশন পার্ট টু’ ঘটাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনই অভিযোগ এনে মোদী সরকারের তুলোধনা করলেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক সিঙ্ঘভি। তাঁর অভিযোগ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্র যে ‘হাতাতে’ চাইছে, সেই টাকা পৌঁছবে মোদীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের পকেটে। ভোটের মুখে তাদের ‘খুশি’ করতে এমন পদক্ষেপ করতে চাইছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন- ‘আমি মিথ্যে বলি না’, রাফাল নিয়ে রাহুলের অভিযোগ সরাসরি খারিজ করলেন দ্যাসোঁর সিইও

উল্লেখ্য, গত মাসে এক অনুষ্ঠানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য মন্তব্য করেন, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ক্রমাগত হস্তক্ষেপ করলে, দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। এই প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনা সরকারের নীতিগ্রহণের উদাহরণ টেনে আনেন। এ ভাবে প্রকাশ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। কেন্দ্র চাইছে অনাদায়ী ঋণে জর্জরিত রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কগুলির ঋণনীতি শিথিল করুক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে শীর্ষ ব্যাঙ্ক নগদ দিয়ে ঘাটতি মেটানোর সাহায্য করুক। কেন্দ্র মনে করে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কোষাগারে থাকা উদ্বৃত্ত অর্থ এই সমস্যার সমাধান করবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্র রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন গভর্নর উর্জিত প্যাটেল।

আরও পড়ুন- অংশীদারি নির্বাচনে সরকারের ভূমিকা নেই, রাফাল চুক্তির প্রক্রিয়ার তথ্য প্রকাশ্যে আনল কেন্দ্র

কংগ্রেস নেতা অভিষেক সিঙ্ঘভি দাবি করেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কে থাকা ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকার লভ্যাংশ পেতে ক্রমশ চাপ সৃষ্টি করছে মোদী সরকার। একেই মোদীর নোটবন্দি সিদ্ধান্তে দেশের সার্বিক বৃদ্ধির ১.৫ পিসি (পার ক্যাপিটা) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ওই অর্থ শিল্পপতিদের ‘বিলিয়ে’ দেয় কেন্দ্র, তা হলে এক ধাক্কায় জিডিপির ২ পিসি উধাও হয়ে যাবে। সিঙ্ঘভির কটাক্ষ, এ বার ডিমনেটাইজেশন পার্ট-টু ঘটাতে চাইছেন মোদী। সিঙ্ঘভির আরও দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্বৃত্ত অর্থের যে লভ্যাংশ সরকার নিতে চাইছে, তা এক দশক ধরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জমানো অর্থের ৪০ শতাংশের সমান। বলাবাহুল্য ওই অঙ্ক জিডিপির ২ শতাংশের কাছাকাছি।

কংগ্রেস নেতা বলেন, আসন্ন ৫ রাজ্যের নির্বাচনে হারতে চলেছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনেও একই পরিণতি হবে। তাই ‘দিশেহারা’ নরেন্দ্র মোদী সরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের’ সাহায্য করতে চাইছেন। সিঙ্ঘভি প্রশ্ন তোলেন, জ্বালানি তেলে চড়া শুল্ক চাপিয়ে ১২ লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্র যে ঘরে তুলেছে, সেই অর্থ কেন ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের’ বিলিয়ে দিচ্ছেন না মোদী?

.