নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইন্টারনেট থেকে বিছিন্ন জম্মু ও কাশ্মীর। ৩৭০ ধারা রদের প্রায় ১ বছর পর অবশেষে আবার জম্মু ও কাশ্মীরে ধীরে ধীরে চালু হতে পারে 4G ইন্টারনেট পরিষেবা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্ট জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন ও কেন্দ্রকে ফোর জি ইন্টারনেট চালু করার সম্ভাবনা আছে কিনা তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কিছু কিছু স্থানে দ্রুত মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ ফেরানো যাবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে আর দেরি করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।


বিচারপতি এনভি রামান্না, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে প্রশ্ন করেন, "কোনও কোনও স্থানে ফোর জি ইন্টারনেট ফেরানোর কি কোনও সম্ভাবনা রয়েছে? কিছু কি করা সম্ভব?"


উত্তরে তুষার জানান, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে তিনি জানান যে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট গভর্নরও পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই একটু দেরী হচ্ছে। সেই সময়েই ১১ অগস্ট এ বিষয়ে দৃষ্টিপাত হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।


সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতে তুষার মেহতা জানান, আগামী ১৫ অগস্টের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের একটি জেলায় চালু করা হচ্ছে ফোর জি ইন্টারনেট। তবে, এটি একটি ট্রায়াল মাত্র। ২ মাস পরে অবশ্য বিষয়টি আবার পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি বিচার করে ইন্টারনেটের বিস্তৃতি বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 


এর পরেই অবশ্য পাল্টা প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হয়েছে তখন তা জনসাধারণকে জানানো হচ্ছে না কেন? জবাবে তুষার বলেন, সেটা করা হচ্ছে। 


অবশ্য ইন্টারনেট চালু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা এর আগে থেকেই চলছিল। প্রাক্তন লেফট্যানেন্ট গভর্নর সিজি মুর্মু এক সংবাদমাধ্যমকে জানান যে উচ্চ-গতির ইন্টারনেটে কোনও সমস্যা হবে না।


গত ২১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা একটি হলফনামায় কেন্দ্র জানায় যে ফোরজি চালু করার বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সময়ে জানানাো হয় মে-জুন মাসে কমিটির শেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখনই ফোরজি ইন্টারনেট ফেরত আনার কোনও সম্ভাবনা নেই। 


কিন্তু, গত সপ্তাহেই ইন্টারনেট ফেরাতে কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দেন সিজি মুর্মু। কেন্দ্রীয় কমিটির উল্টোটাই বলেন তিনি। আর তাতেই যেন কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে কেন্দ্র।


আরও পড়ুন : যার অঙ্গুলিহেলনে ইরানের বিচারব্যবস্থা চলে, সেই খামেইনি টুইটার অ্যাকাউন্ট খুললেন হিন্দিতে!