নিজস্ব প্রতিবেদন: ঝাড়খণ্ডের গণপিটুনির ঘটনাকে ‘কাট অ্যান্ড পেস্ট’ অভিযোগ বলে কটাক্ষ করলেন ওই রাজ্যের মন্ত্রী সিপি সিং। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে বিজেপি, আরএসএস, ভিএইপি এবং বজরং দলের সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া হলে তাঁর অভিযোগ। তবে, আইন মেনে সরকার তদন্ত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের সেরাইকেলায় মোটরবাইক চোর সন্দেহে বেধড়ক পেটানো হয় ২৪ বছরের এক যুবককে। এক-দু’ঘণ্টা নয়, পোস্টে বেঁধে টানা সাত ঘণ্টা পেটানো হয় তাঁকে। জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ বলানোর চেষ্টা হয়। অচৈতন্য হয়ে পড়লে পুলিস উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু ততক্ষণে ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এক অভিযুক্ত অধরা। গাফিলতির অভিযোগে দুই পুলিস অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়। বিশেষ তদন্ত দল বা সিট গঠন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।


আরও পড়ুন- কংগ্রেসের প্রকল্পের নাম ভঙিয়ে নিজের নামে চালিয়ে যাচ্ছেন মোদী, সংসদে দীর্ঘ তালিকা তুলে ধরলেন অধীর


তবরেজ আনসারি নামে ২৪ বছরের তরুণকে বাইক চোর সন্দেহে চড়াও হয় জনতা। গত মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় ওই ব্যক্তিকে ঘিরে মারধর শুরু করে। লাঠি, চড়, ঘুসি তো ছিলই পরে পোস্টে বেঁধে ৭ ঘণ্টা ধরে তাঁর উপর চলে নির্মম অত্যাচার। জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ বলানোর চেষ্টা চলে। রাতভর অকথ্য অত্যাচারে অচৈতন্য হয়ে পড়েন তবরেজ। এর পর তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবরেজের এক আত্মীয় জানান, মঙ্গলবার কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে জামসেদপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন শ্যামস। তাঁর বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এই গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।


তবরেজের মৃত্যু জন্য পুলিসের ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় দাঁড়  করান তাঁর পরিজনেরা। পুলিসের হেফাজতে থাকাকালীন তবরেজের যথাযথ চিকিত্সা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চেক-আপের পর সেরাইকেলা জেলে শ্যামসকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর তাঁকে জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিজনদের অভিযোগ, তবরেজের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। পরিজনদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। এক আত্মীয়ের কথায়, পুলিস জানায় চোরের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন। তাঁকেই জেলে পুরে দেওয়ার হুমকি দেয় পুলিস।


তবরেজের মৃত্যু খবর বিশ্বাস না করে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পুলিসের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন পরিজনেরা। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মোদীর সবকা বিশ্বাস স্লোগানের কটাক্ষ করেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েসি।